গ্যাসসম্পদ ও বাংলাদেশ রচনা

গ্যাসসম্পদ ও বাংলাদেশ রচনার একটি নমুনা তৈরি করে দেয়া হল। আশা করি এটি শিক্ষার্থীদের কাজে লাগবে। তবে আমরা রচনা মুখস্থ করা নিরুৎসাহ দেই। আমরা নমুনা তৈরি করে দিচ্ছি একটা ধরনা দেবার জন্য। এখান থেকে ধারণা নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিজের মতো করে নিজের ভাষায় রচনা লিখতে হবে।

গ্যাসসম্পদ ও বাংলাদেশ

গ্যাসসম্পদ ও বাংলাদেশ

প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান, আহরণ, বাণিজ্য ও রপ্তানি নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অঙ্গনে বেশ কয়েক বছর ধরেই বিতর্ক চলে আসছে। আর্থিক লাভ ও বাণিজ্যিক স্বার্থে বিদেশী কোম্পানিগুলো এবং তাদের দেশীয় সরকারগুলো বাংলাদেশের গ্যাসসম্পদ নিয়ে শুরু করেছে চাণক্যের চাল আর কৌটিল্যের কূটকৌশল।

বিশেষ করে পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারতে গ্যাস রপ্তানির বিষয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা ও পর্যালোচনা চলছে বেশ জোরেশোরেই। অথচ এখনো পর্যন্ত সম্পাদিত দেশী-বিদেশী সকল বিচার-বিশ্লেষণেই দেখা যায় বিপুল জনভারাক্রান্ত উন্নয়নকামী বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান গার্হস্থ্য প্রয়োজন, শিল্পায়ন, নগরায়ন ও আধুনিকায়নের জন্য অপরিহার্য প্রাকৃতিক গ্যাসের রিজার্ভ যথেষ্ট নয়।

বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে আগামী ২০-২৫ বছরের মধ্যেই আবিষ্কৃত ও সম্ভাব্য আবিষ্কৃতব্য সকল গ্যাসের মজুদ ফুরিয়ে যাবে। তাছাড়া রপ্তানির বিকল্প হিসেবে দেশে গ্যাসের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার বিষয়েও অনেক বিশেষজ্ঞ সবিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন।

 

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের বর্তমান অবস্থা

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ২২টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। এ ২২টি গ্যাসক্ষেত্রের মধ্যে বর্তমানে ১৪টি গ্যাসক্ষেত্রের ৫৫টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।

এই ১৪টি গ্যাসক্ষেত্র হচ্ছে তিতাস (১৪টি কূপ), বাখরাবাদ (৪টি কূপ), হবিগঞ্জ (৯টি কূপ), রশিদপুর (৭টি কূপ), কৈলাশটিলা (৩টি কূপ), সিলেট (১টি কূপ), মেঘনা (১টি কূপ), সালদা নদী (২টি কূপ), সাঙ্গু (৩টি কূপ), জালালাবাদ (৪টি কূপ), বিয়ানী বাজার (২টি কূপ), ফেঞ্চুগঞ্জ (২টি কৃপ) এবং ফেনী (২টি কূপ)। কামতা ও ছাতক গ্যাসক্ষেত্র দুটি দীর্ঘদিন উৎপাদনশীল থাকার পর বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।

তাছাড়া আরো ৬টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে যেগুলো এখনো উত্তোলনে যায়নি। এগুলো হলো বেগমগঞ্জ, কুতুবদিয়া, সেমুতাং, শাহবাজপুর, বিবিয়ানা ও মৌলভীবাজার। এ সকল গ্যাসক্ষেত্রে প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মিলিয়ে মোট মজুদের পরিমাণ হলো ২৮.৪১৫৭ টিসিএফ। এর মধ্যে উত্তোলনযোগ্য মজুদের পরিমাণ হলো ২০.৫০৯১ টিসিএফ।

 

গ্যাসসম্পদ ও বাংলাদেশ

 

বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের বর্তমান ব্যবহার

বাংলাদেশে বর্তমানে গ্যাসের উৎপাদন মোটামুটি হলেও প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার এখনো ব্যাপকতর করা সম্ভব হয়নি। দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সার কারখানা, বাণিজ্যিক, শিল্প ও গৃহস্থালী খাতে জ্বালানির প্রধান উৎস হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস। বাংলাদেশে গত দশ বছরের গ্যাসের ব্যবহার তুলনা করলে দেখা যায়, বাংলাদেশে গ্যাসের ব্যবহার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি গ্যাসের উৎপাদনও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

১৯৯০-৯১ অর্থবছরে মোট গ্যাসের ব্যবহার ছিল ১৬৩.৫৯৩ বিলিয়ন ঘনফুট যা ২০০৩-০৪ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়ায় ৪২৭.৬৫ বিলিয়ন ঘনফুট। অন্যদিকে ২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে ব্যবহৃত গ্যাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্যাস ব্যবহৃত হয় বিদ্যুৎ খাতে যার পরিমাণ ২৩১.৪৩ বিলিয়ন ঘনফুট যা মোট ব্যবহৃত গ্যাসের প্রায় ৫২ শতাংশ। তারপর সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় সার উৎপাদনে যা মোট উৎপাদনের ২১.৬ শতাংশ (৯২.৮০ বি. ঘনফুট)।

তাছাড়া দেশের শিল্পক্ষেত্রে এ সময়ে মোট ব্যবহৃত গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ১৫ শতাংশ (৪৬.৪৯ বিলিয়ন ঘনফুট), চা বাগানে ০.৮২ শতাংশ (০.৮২ বিলিয়ন ঘনফুট), মৌসুমী ইটখোলায় ১৫ শতাংশ (০.১২ বিলিয়ন ঘনফুট), বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ১.১৭ শতাংশ (৪.৮৩ বিলিয়ন ঘনফুট) এবং গৃহস্থালী কাজে প্রায় ১০ শতাংশ (৪৯.২২ বিলিয়ন ঘনফুট)।

বিগত বছরগুলোতে গ্যাসের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায় বিদ্যুৎ খাতে। অন্যদিকে সার উৎপাদনের ক্ষেত্রে গ্যাসের ব্যবহার ২০০২-০৩ সালের তুলনায় ২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে হ্রাস পায়। তাছাড়া গৃহস্থালীর ক্ষেত্রেও গ্যাসের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

গ্যাসসম্পদ ও বাংলাদেশ

 

বাংলাদেশে গ্যাসের সম্ভাব্য ব্যবহার ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা

বাংলাদেশে বর্তমানে যে সকল ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে তার প্রতিটিতেই আরো অধিক হারে গ্যাসের ব্যবহার এবং নতুন নতুন ক্ষেত্রে গ্যাস ব্যবহার করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার সুযোগ রয়েছে। যেমন:

 

১. বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের ব্যবহার

বাংলাদেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণ ও জনগণের দোরগোড়ায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশেরও কম বিদ্যুৎ সুবিধা পেয়ে থাকে। ইতিমধ্যেই ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টিও কোনো কোনো মহল প্রস্তাব করেছে।

অন্যদিকে একই মহল ভারতে গ্যাস রপ্তানির ব্যাপারেও ওকালতি করছে। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে ভারত বাংলাদেশ থেকে গ্যাস আমদানি করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা বাংলাদেশে রপ্তানি করবে সেখানে বাংলাদেশের তার নিজস্ব গ্যাসসম্পদকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাধা কোথায়? দেশের বর্তমানে উৎপাদিত বিদ্যুতের ১০ শতাংশের বেশি গ্যাসভিত্তিক ।

সুতরাং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের জনগণকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য আরো বেশি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা যেতে পারে। এতে একদিকে যেমন নিজস্ব সম্পদ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ আমদানির বিরাট অংকের বায় হতে রক্ষা পাওয়া যাবে, তেমনি বিদ্যুৎ সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে শিল্প-বাণিজ্যের বিকাশ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরো ত্বরান্বিত করা যাবে।

বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যে বিশাল জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ ও গ্যাসের কোনো সুবিধা পাচ্ছে না, তাদের জন্য গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে বিবেচনার দাবি রাখে।

 

গ্যাসসম্পদ ও বাংলাদেশ

 

২. সার কারখানায় ব্যবহার বৃদ্ধিতে গ্যাসের ব্যবহার

বাংলাদেশ ষিপ্রধান দেশ। কৃষির উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির ওপর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি অনেক নির্ভরশীল। অথচ বাংলাদেশের কৃষকরা। এখনো যথাযথভাবে সঠিক সময়ে সার-বীজ ও কীটনাশক না পাওয়ায় কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয়। এদিকে বাংলাদেশের সার কারখানাগুলোতে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হয়। কিন্তু বাংলাদেশ তার বিপুল পরিমাণ গ্যাস থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় পরিমাণ সার উৎপাদন করতে পারছে না।

প্রতি বছরই ভারত কিংবা অন্য কোনো দেশ থেকে সার আমদানি করতে হচ্ছে। এজন্য ব্যয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। এমতাবস্থায় দেশের গ্যাসসম্পদ ব্যবহার করে আরো সার কারখানা স্থাপন করলে বাংলাদেশ তার নিজস্ব চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির বিষয়টিও বিবেচনা করে দেখতে পারে। কেননা আমদানি নির্ভর অর্থনীতিকে রপ্তানিমুখী করতে না পারলে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব হবে না।

 

৩. সিএনজি হিসেবে গ্যাসের ব্যবহার

সিএনজি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার বাংলাদশের অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত উন্নয়নে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছে। কেননা যানবাহনে সিএনজির ব্যবহার একদিকে যেমন পেট্রোল ও মবিলের দূষক উপাদান থেকে আমাদের পরিবেশকে রক্ষা করছে, অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হচ্ছে। অথচ আমাদের দেশীয় প্রাকৃতিক গ্যাসকে রূপান্তরিত করে ব্যবহার করলে একদিকে যেমন এ বিপুল পরিমাণ ব্যয়ের হাত থেকে বাঁচা যায়, তেমনি এতে পেট্রোলের তুলনায় খরচও কম হয়।

এতে যেমন পরিবেশ দূষণের হাত থেকে জাতি রক্ষা পায়, তেমনি জাতীয় অর্থনীতিতে আমদানি নির্ভরতা হ্রাস ও বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় এবং পরিবহন মালিকদেরও খরচ কম হয়। বাংলাদেশে ইতিমধ্যে সিএনজিচালিত যানবাহন চালু হলেও তার ব্যবহার এখনো ব্যাপকতর হয়নি। এর কারণ হিসেবে সিএনজি স্টেশনের স্বল্পতাকেই বেশি দায়ী করা হচ্ছে। তাছাড়া বিদ্যমান পরিবহনগুলোকে সিএনজি ব্যবহার উপযোগী করাও বেশ খরচের ব্যাপার।

 

8. জনগণকে অধিক হারে গ্যাস সরবরাহ

বাংলাদেশে বর্তমানে মোট জনসংখ্যার শতকরা ১০ জনেরও কম প্রাকৃতিক গ্যাসের সুবিধা পেয়ে থাকে। গ্রাম ছাড়া শহরেরও বিরাট অংশ গ্যাস সুবিধা পায় না। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের মানুষ গ্যাস সুবিধা থেকে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত। অথচ গৃহস্থালী কাজে গ্যাস ব্যবহার করতে না পেরে জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করার কারণে দেশে বিপুল পরিমাণ বৃক্ষ কর্তন হচ্ছে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে ।

অন্যদিকে গ্যাসের অভাবে দেশের একটি বিরাট অংশ শিল্পায়নসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নের নানাবিধ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই দেশের জনগণকে অধিক হারে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ দিলে পরিবেশ রক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন দুই-ই ত্বরান্বিত হবে।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

সুপারিশমালা

গ্যাস রপ্তানির বিতর্ককে বাদ দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে গ্যাসের ব্যবহার বৃদ্ধি করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার বিষয়টি জোর দিলে একদিকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অন্যদিকে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা উভয়ই এড়িয়ে যাওয়া যাবে। এজন্য নিচের সুপারিশগুলো বিবেচনা করা যেতে পারে প্রথমত, দেশের উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সুলভে গ্যাস পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, পরিবেশ দূষণ রোধে দেশের তেল ও কয়লানির্ভর শিল্পকারখানা ও যানবাহনকে প্রাকৃতিক গ্যাসনির্ভর করার পরিকল্পনা গ্রহণ আবশ্যক। বিশেষ করে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাসসহ যন্ত্রচালিত যাবতীয় যানবাহনকে সিএনজি ব্যবহারের উপযোগী করার পরিকল্পনা নিতে হবে। তাছাড়া সিএনজি ছাড়া নতুন কোনো যানবাহন চলাচলের অনুমোদন দেয়া যাবে না।

তৃতীয়ত, জ্বালানিনির্ভর আরো সার কারখানা গড়ে তুলতে হবে। সেজন্য প্রয়োজনীয় পেট্রো কেমিক্যাল শিল্প কমপ্লেক্স স্থাপন করতে হবে।

চতুর্থত, গ্যাস সরবরাহ ও সংযোগ প্রদানের বিষয়টি সহজতর করে জনগণের নিকট প্রয়োজনীয় সেবা পৌঁছে দিতে হবে।

 

উপসংহার

বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা মেধাবীদের মধ্য থেকে তিন চারশ গ্র্যাজুয়েটকে খনিজ গ্যাস ও তেল জরিপ ব্যবস্থাপনা ও আহরণ সম্পর্কিত কৌশল ও শাস্ত্রে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, সৌদি আরব, ইরান ও রাশিয়ার অগ্রণী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণ করতে হবে। তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে এ প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠী দেশে ফিরে এলে এবং তাদের পর্যাপ্ত সহায়তা দিলে দেশের তেল-গ্যাস আহরণে তারা যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে পারবে।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment