Site icon Bangladesh Gurukul [ বাংলাদেশ গুরুকুল ] GDCN

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট | ভাষা ও সাহিত্য | বাংলা রচনা সম্ভার

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট : ইউরোপে চতুর্দশ-পঞ্চদশ শতাব্দীতে রেনেসাঁ বা পুনর্জাগরণ ঘটলে শিক্ষার প্রসঙ্গটি গুরুত্ব পেতে শুরু করে। তবে সর্বজনীন শিক্ষার ধারণা সম্ভবত ব্রিটিশ লেখক টমাস মুরের Utopia (১৫১৬) গ্রন্থে সাম্যের সামাজিক অবস্থান থেকে প্রথম উপস্থাপিত হয়েছিল।

 

 

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট

ফরাসি দার্শনিক রুশো (১৭১২- ১৭৭৮) সাম্যনীতি দ্বারা পরিচালিত সমাজ চেয়েছিলেন। সে কারণে তিনিও মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের ক্ষেত্রে শিক্ষার অপরিহার্যতাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন। বস্তুত ইউরোপে শিল্প, বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লব, রাজতন্ত্রের উচ্ছেদ, সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব, সমাজ রাষ্ট্র এবং মানুষের চেতনার জগতে আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।

আধুনিক সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থার পতনের সাথে শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিস্তার লাভ স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়। বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই দেশে দেশে শিক্ষা মানুষের জন্মগত অধিকারের বিষয় বলে স্বীকৃতি লাভ করে। নিরক্ষরতা দূরীকরণ রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান আন্দোলনে পরিণত হয়। এর ফলে শিক্ষার দ্বার খুলে যায় সমাজের সকল মানুষের জন্য ।

শিক্ষা কি?

সাধারণ অর্থে জ্ঞানের রাজ্যে অবাধ বিচরণই শিক্ষা। মনমানসিকতার উৎকর্ষ সাধন করে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সাফল্যজনক অবদান রাখার নামই শিক্ষা। Oxford Advanced Learner’s Dictionary-তে বলা হয়েছে, Education is a process of training and instruction which is designed to give knowledge and develop skills.

পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় (১৯৯৭-২০০২) বলা হয়, Education is the basic need for the socio-economic transformation and advancement of a country’s resources development.

শিক্ষা একটি কৌশল, শিক্ষিত মানুষ সে কৌশল ব্যবহার করে তার বিনিময়ে অর্থনৈতিক মূল্য পায়।

পাশ্চাত্যের এক প্রখ্যাত মনীষী শিক্ষার সংজ্ঞা দিয়েছেন এভাবে, ‘Education is the harmonious development of body, mind and soul. অর্থাৎ শরীর, মন এবং আত্মার সুসামঞ্জস্য উন্নয়নই শিক্ষা।

 

 

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা :

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ঔপনিবেশিক ধাঁচে গড়া। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক কালে ব্রিটিশরা উপমহাদেশে তাদের শাসন-শোষণ পাকাপোক্ত করার জন্য তাদের স্বার্থসিদ্ধির অনুকূল করে শিক্ষাব্যবস্থার বিন্যাস করে। পাকিস্তান আমলেও সে শিক্ষাব্যবস্থায় কোনো লক্ষণীয় পরিবর্তন সাধিত হয়নি।

বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পরে ১৯৭২ সালে ড. কুদরাত-ই-খুদার নেতৃত্বে একটি শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়। উক্ত শিক্ষা কমিশন ভারত সফর করে যে শিক্ষা নীতিমালা সুপারিশ করে, তার ভিত্তি ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা। কুদরত-ই-খুদা কমিশনের শিক্ষানীতি বাস্তবায়িত হয়নি।

পরবর্তীকালে শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন ও পরিবর্তন আনার জন্য ১৯৭৮ সালে কাজী জাফর আহমেদের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন শিক্ষানীতি এবং ১৯৮৭ সালে অধ্যাপক মফিজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা কমিশন ২০০৩ সালে প্রফেসর মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিঞার নেতৃত্বে জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়। কিন্তু এসব শিক্ষা কমিশনের কোনো সুপারিশ সুনির্দিষ্টভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। আমাদের দেশে শিক্ষা নিয়ে অভাব-অভিযোগ, ভাবনা-চিন্তা ও দুশ্চিন্তার অন্ত নেই।

সম্প্রতি দেশের নাগরিক সমাজ, শিক্ষিত মহল এবং সচেতন মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত মহল দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন; নকল-দুর্নীতি এবং মানের অধঃগতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এর কারণ দীর্ঘদিন থেকেই দেশের শিক্ষাব্যবস্থা কোনো শিক্ষানীতি দ্বারা পরিচালিত হয়নি। ঐতিহাসিকভাবেই আমরা পেয়েছি একটি শিক্ষানীতিবিহীন শিক্ষাব্যবস্থা। ফলে অনিয়ম, দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলার মতো গর্হিত বিষয়গুলো আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার অভ্যন্তরে ক্রমেই দানা বেঁধেছে, শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।

 

 

প্রাথমিক স্তর

বর্তমানে দেশে ২০ হাজারের অধিক বেসরকারি কেজি স্কুল, ১৫৯৪৪টি এবতেদায়ি মাদ্রাসা এবং ৫০ হাজারের বেশি এনজিও স্কুলে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাক্রম চলছে। এসব প্রতিষ্ঠান প্রাক- প্রাথমিক শিক্ষার চিরায়িত ধারায় চলছে না। কেজি স্কুলগুলোর শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক এনসিটিবির মতো জাতীয় কোনো প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত না হওয়ায় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার ধারণায় দেশের লক্ষ লক্ষ শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য প্রস্তুত করা সম্ভব হচ্ছে না।

অধিকন্তু প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা এখনো শহরকেন্দ্রিক এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল। ফলে দেশের কোটি কোটি শিশু প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই শিশুরা শিক্ষা জীবনের শুরুতেই বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। অর্থাৎ এদেরকে কোনো প্রকার পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই প্রাথমিক স্কুলের প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হতে হচ্ছে। অপরদিকে কেজি স্কুলগুলো শিশুদের ধারণ ক্ষমতা বিবেচনায় না এনে একগাদা বই-পুস্তক-খাতা পিঠের ওপর চাপিয়ে তাদের এক ধরনের শিক্ষাভীতি তৈরি করছে বলে মনে হচ্ছে।

প্রকৃতপক্ষে কোনো সুষ্ঠু নীতিমালা দ্বারা দেশের প্রাক- প্রাথমিক শিক্ষার স্তর গড়ে ওঠেনি, চলছেও না। এগুলোর প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্য থাকে বাণিজ্যিকভাবেই লাভ করা। তাছাড়া শিক্ষক নিয়োগেও কোনো নীতিমালা অনুসরণ করা হয় না। সবচেয়ে বেশি ছাত্র বেতনধারী এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের বেতন সবচেয়ে কম।

দেশের প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষক বর্তমানে এসব কেজি স্কুলের সাথে জড়িত, অথচ তাদের কোনো চাকরিবিধি নেই। ফলে শিক্ষককতাকে মহান পেশা হিসেবে অনেকেই এই স্তরে বেছে নিতে পাচ্ছেন না। চাকরিবিধির অনুপস্থিতি, স্বল্প বেতন ইত্যাদি কারণে শিক্ষকদের মধ্যে আয়ের দ্বিতীয় উৎস সন্ধানের প্রবণতা কাজ করে থাকে। ফলে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য এখানেও ব্যাহত হচ্ছে।

দেশের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় সরকারি, বেসরকারি স্কুল, কেজি স্কুল এবং মাদ্রাসাই প্রধান ভূমিকা পালন করছে। কিছু এনজিও এবং বিশেষ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে দেশে প্রাথমিক শিক্ষার সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৭০ হাজারের বেশি এবং এগুলোতে প্রায় দুই লাখ শিক্ষক জড়িত আছেন। এ ক্ষেত্রেও বিরাজ করছে অসম ব্যবস্থা: সরকারি স্কুলসমূহে ব্যবস্থাপনার সংকট, যোগ্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের অভাব রয়েছে। বেসরকারি রেজিস্ট্রেশনভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও সুষ্ঠু নীতিমালায় প্রতিষ্ঠিত হয়নি। দুর্নীতি এগুলোতে হাঁটু গেড়ে বসেছে। ফলে শিক্ষা যথাযথভাবে প্রবেশ করতে পারছে না।

এবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোতেও বিরাজ করছে প্রায় একই সমস্যা। সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা এতসব ধারা-উপধারায় বিভক্ত হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা থেকে আমাদের শিশুরা খুব কমই উপকৃত হতে পারছে। শিক্ষার প্রতি তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি, ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার প্রধান দুটি স্তরই হচ্ছে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তর। এ ক্ষেত্রে আমরা এ পর্যন্ত মানের অধঃগতি এবং বৈষম্যের দূরত্ব ব্যতীত আর বিশেষ কিছু করতে পারিনি।

 

 

মাধ্যমিক স্তর

আমাদের মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় বেসরকারি স্কুলের সংখ্যা ১৬ হাজারের বেশি। সরকারি স্কুলের সংখ্যা ৩১৭টিতেই স্থির রয়েছে। দেশে প্রায় ৪৮২৬টি দাখিল মাদ্রাসাসহ মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসায় এক লক্ষের অধিক শিক্ষক কর্মরত আছেন। সম্প্রতি দেশব্যাপী বেসরকারি শিক্ষকদের আন্দোলনের ফলে সরকার বেসরকারি শিক্ষকদের মূল বেতনের ৯০ শতাংশ সরকারি কোষাগার থেকে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। তারপরও সরকারি ও বেসকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে বৈষম্য বিরাজ করছে। ফলে দুই মানের শিক্ষা একই স্তরের শিক্ষায় বিরাজ করায় যথেষ্ট ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।

উচ্চশিক্ষার স্তর

কলেজ শিক্ষাতেও বিরাজ করছে চরম বিশৃঙ্খলা। সুষ্ঠু নীতিমালার অভাবে দেশে কলেজ প্রতিষ্ঠা, শিক্ষার মান, পাঠ্যক্রম, শিক্ষক নিয়োগ, চাকরিবিধি ইত্যাদি কিছুই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নামক একটি উচ্চতর প্রতিষ্ঠান যত্রতত্র অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালু করে দেশে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে এক ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি করেছে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলোর মধ্যে দূরত্বেও প্রতিযোগিতা তৈরি হচ্ছে।

দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং মাদ্রাসা শিক্ষাক্ষেত্রে কতগুলো মৌলিক দুর্বলতা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এ মুহূর্তে এগুলো দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে গ্রাস করতে বসেছে। শিক্ষা বোর্ড, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা বোর্ড এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিচালিত এসব প্রতিষ্ঠান লাগামহীনভাবে দুর্নীতি বিস্তারে ভূমিকা রাখছে।

দুর্নীতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দান, বেতন-ভাতা দেওয়া, সার্টিফিকেট প্রদান, সরকারি শিক্ষকদের বদলি ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনা থাকলেও কার্যত কিছুই করা সম্ভব হচ্ছে না। দেশের স্বায়ত্তশাসিত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর লেখাপড়ার মানও বর্তমানে বিশ্বমানের চাইতে বেশ নিচে অবস্থান করছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে অবস্থান করছে। তাছাড়া এগুলোর মধ্যে দু একটি ব্যতীত অধিকাংশই এখনো বিশ্ববিদ্যালয় ধারণাকে যথাযথভাবে ধারণ করতে পারেনি। সামগ্রিকভাবে বলা যায়, আমাদের দেশে উচ্চতর শিক্ষা এখনো আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমুখী হয়ে উঠেনি। গবেষণা এবং প্রায়োগিক চিন্তা-ভাবনাও এগুলোতে যথাযথভাবে কার্যকর নেই। এখনো উচ্চতর শিক্ষা সার্টিফিকেট অর্জনের লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

স্বাধীনতা-উত্তর বিভিন্ন শিক্ষানীতি

স্বাধীনতার পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত বাংলাদেশে সাতটি শিক্ষা কমিশন ও শিক্ষানীতি প্রণীত হয়েছে। যথা

১. বাংলাদেশ শিক্ষা কমিশন (১৯৭২-৭৪)

২. জাতীয় শিক্ষা উপদেষ্টা পরিষদ (১৯৭৮-৭৯)

৩. জাতীয় শিক্ষা কমিশন (১৯৮৩)

৪. বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা কমিশন (১৯৮৭-৮৮)

৫. জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি (১৯৯৭)

৬. শিক্ষা সংস্কার কমিশন (২০০১-০২)

৭. জাতীয় শিক্ষা কমিশন (২০০৩-০৪)

শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতি

এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ছয়টি শিক্ষানীতি প্রণীত হয়েছে। এই অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সুপারিশ করা হয়েছে। সেসব নীতি ও পরিকল্পনার আলোকে ইতিমধ্যেই শিক্ষাক্ষেত্রে বেশ কিছু অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। যেমন—

পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য শিক্ষার সম্প্রসারণ অপরিহার্য। শিক্ষা ক্ষেত্রে বিদ্যমান মৌলিক সমস্যাসমূহের প্রতিকার সম্ভব হলে সার্বিক শিক্ষার হার বৃদ্ধির পাশাপাশি নৈতিক গুণাবলী অর্জন ও মানব সম্পদের উন্নয়ন সম্ভব হবে।

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version