বাংলাদেশে গ্যাস রপ্তানি বিতর্ক রচনার একটি নমুনা তৈরি করে দেয়া হল। আশা করি এটি শিক্ষার্থীদের কাজে লাগবে। তবে আমরা রচনা মুখস্থ করা নিরুৎসাহ দেই। আমরা নমুনা তৈরি করে দিচ্ছি একটা ধরনা দেবার জন্য। এখান থেকে ধারণা নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিজের মতো করে নিজের ভাষায় রচনা লিখতে হবে।
Table of Contents
বাংলাদেশে গ্যাস রপ্তানি বিতর্ক
দেশের রপ্তানি খাত প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিশ্ববাজারে আমাদের তৈরি পোশাক ও হিমায়িত চিংড়িসহ পাটজাত দ্রব্যের চাহিদা পড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক ও চিংড়ি খাত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১১ সেপ্টেম্বরের হামলা, আফগান ও ইরাক যুদ্ধজনিত কারণে বিপর্যয়ের মুখে। পাশাপাশি প্রবাসীদের কাছ থেকে পাওয়া রেমিটেন্সের পরিমাণও কমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় নতুন কোনো রপ্তানি খাত উদ্ভাবন করতে না পারলে সরকার সংকটে পড়বে। আর এ সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য বর্তমান সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমান গ্যাস রপ্তানির পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেন। ফলে গ্যাস রপ্তানির বিষয়টি বাংলাদেশে নতুন আলোচনা ও বির্তকের সূত্রপাত করে।
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ
১৯৫৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেশে আবিষ্কৃত গ্যাস ক্ষেত্রের সংখ্যা (বঙ্গোপসাগরের দুটিসহ) মোট ২২টি। গ্যাসের মোট মজুদ ও উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুদের পরিমাণ যথাক্রমে ২৮.৪১৫৭ ও ২০.৫০৯১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। ২০০৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত ৫.৫৪৬ (টিসিএফ) গ্যাস উৎপাদিত হয়েছে। অতএব ভবিষ্যৎ উত্তোলন ও ব্যবহারের জন্য অবশিষ্ট উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের পরিমাণ ১৪.৯৬২৫ (টিসিএফ)। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে মজুদ এ গ্যাস দিয়ে বাংলাদেশ ২০১৮ সাল পর্যন্ত চলতে পারবে।
১৪ নভেম্বর, ২০০১ বাংলাদেশ কারিগরি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষা সমিতি আয়োজিত এক সেমিনারে ড. মোঃ গোলাম মহিউদ্দিন বিভিন্ন তথ্য-পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখান যে, প্রকৃতপক্ষে দেশে বর্তমানে গ্যাসের প্রমাণিত মজুদ ১১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। পেট্রোবাংলা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতত্ত্ব সমিতির যৌথ সমীক্ষা অনুযায়ী অনাবিষ্কৃত গ্যাসের পরিমাণ গড়ে ৩২.১ টিসিএফ। ফলে আগামী ৩০ বছরের মধ্যে অবশ্যই গ্যাস ঘাটতির ধাক্কা আসবে।
ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি আউটলুক ২০০০ ওয়ার্ল্ড ওয়াইড লুক অ্যাট রিজার্ভস অ্যান্ড প্রোডাকশন শীর্ষক অয়েল অ্যান্ড গ্যাস জার্নাল অনুয়ায়ী ১ জানুয়ারি, ২০০০ সাল পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে মোট ৫ হাজার ১৪৬ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ ছিল। এর মধ্যে ১৮টি দেশেই রয়েছে মোট মজুদের ৮৮.৮ শতাংশ এবং এ দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া ফেডারেশন (১৭০০ টিসিএফ) এবং ১৮তম অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো (৫০ টিসিএফ)। এই ১৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্ত নয় ।
গ্যাসের মজুদ কত বছর থাকা উচিত
গ্যাস রপ্তানির বিতর্কে অংশ নিয়ে অনেকেই বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে জ্বালানি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে। তাই গ্যাসের ব্যবহার সেকেলে হবার আগেই রপ্তানি করতে হবে। কিন্তু তাদের এই কথার তেমন কোনো গ্রহণযোগ্য ভিত্তি নেই। কারণ জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে বলীয়ান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যারা গ্যাসের বিকল্প জ্বালানি নিয়ে গবেষণা করছে, তাদেরই গ্যাসের মজুদ রয়েছে ৬৫ বছরের।
এই বিশাল মজুদ রেখেই তারা বিভিন্ন দেশ থেকে গ্যাস আমদানির চেষ্টা-তদবির করছে। ভারতেও ৩২ বছরের গ্যাসের মজুদ রয়েছে।
সে মজুদে তারা হাত না দিয়েই আমদানির মাধ্যমে চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছে। এসব তথ্য বিশ্লেষণের পর প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক, আগামী দিনগুলোতে যদি গ্যাসের ব্যবহার সেকেলেই হয়ে যায়, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৬৫ বছরের বিশাল মজুদ রেখে আগামী ১০ বছর পর্যন্ত গ্যাস আহরণ নিষিদ্ধ করলো কেন?
বাংলাদেশে গ্যাসের ব্যবহার
বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথা থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে জ্বালানির ৬৫ শতাংশ মেটানো হয় কাঠ, খড়ি, লতাপাতা, গোবর ইত্যাদি প্রচলিত উৎস থেকে । আর দেশের শহরাঞ্চলের শিল্প ও গৃহস্থালি ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাস ও বিদ্যুতের ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০০১ সালে প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশে বর্তমানে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ ও ৩৭ শতাংশ সার উৎপাদনে, ১০ থেকে ১১ শতাংশ শিল্পে ৭ শতাংশ গৃহস্থালি এবং ২ শতাংশ বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদনে মোট শক্তির ৭০ শতাংশ আসে গ্যাস থেকে। ১৯৯৯ সালে গ্যাসের ব্যবহার ছিল ০.৩৪৬ টিসিএফ।
বাংলাদেশে গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা
বর্তমানে গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধির হার বিদ্যুৎ খাতে ৬ শতাংশ, শিল্প ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ, গৃহস্থালি ব্যবহারে ৯ শতাংশ ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ৩ শতাংশ। ক্রমাগত হারে গ্যাসের এই বর্ধিত চাহিদা মেটাতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে কত পরিমাণ গ্যাস প্রয়োজন হবে তা লক্ষ্য করা বিশেষ প্রয়োজন।
একটি জরিপে আগামী ৫০ বছরের গ্যাস চাহিদার হিসাবে দেখানো হয়েছে যে, বাংলাদেশে আগামী ৫০ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন কাজে মোট প্রায় ৩৯.৭ টিসিএফ, সার উৎপাদনে প্রায় ৪.৭ টিসিএফ, বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে ১৩.৫ টিসিএফ এবং বাণিজ্যিক, গৃহস্থালি ও অন্যান্য কাজে প্রায় ৪.৯ টিসিএফ গ্যাস প্রয়োজন হবে । অর্থাৎ আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশে গ্যাসের মোট চাহিদার পরিমাণ হবে প্রায় ৬২.৮ টিসিএফ।
গ্যাসের ওপর নির্ভরতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শীর্ষে
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও অন্যান্য শিল্প মাধ্যমসমূহ গ্যাসের ওপর এতটা নির্ভরশীল যে, এ গ্যাস নিঃশেষ হয়ে গেলে দেশময় এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নত ও উন্নয়নশীল কয়েকটি দেশের জ্বালানি ব্যবহারের প্রকৃতি তুলনা করলে দেখা যায় যে, গ্যাসের ওপর নির্ভরতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশই শীর্ষে রয়েছে। অয়েল অ্যান্ড গ্যাস জার্নাল, ১৬ জুলাই, ২০০১ সংখ্যার তথ্য মতে, বর্তমানে মোট ব্যবহৃত বাণিজ্যিক জ্বালানির মধ্যে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব ৭০ শতাংশ, এরপরই মালয়েশিয়া ৫০ শতাংশ।
গ্যাসই বর্তমান শতকের জ্বালানি
বিশিষ্ট ভূ-রাজনৈতিক পরিবেশবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবদুর রব তার ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের নিরিখে বাংলাদেশের গ্যাস রপ্তানির বিশ্লেষণ’ শীর্ষক এক নিবন্ধে বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে বিশ্বে প্রাকৃতিক গ্যাসই একমাত্র প্রধান জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি আউটলুক ২০০০-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আগামী ২০ বছরে সারা বিশ্বেই প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার দ্বিগুণ হবে।
সৌদি আরবও তার তেল কারখানাসমূহকে তেলের পরিবর্তে গ্যাসনির্ভর করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে। ভারত তার ভবিষ্যৎ বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে বৃহৎ আকারে প্রাকৃতিক গ্যাসনির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। নিজেদের গ্যাসসম্পদের স্বল্পতা হেতু তারা বিদেশ থেকে দীর্ঘমেয়াদি গ্যাস আমদানির চুক্তি করছে।
গ্যাস রপ্তানি বিতর্ক
গ্যাস রপ্তানি নিয়ে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বর্তমান এক জটিল অবস্থার মুখে পড়েছে। বাংলাদেশে গ্যাস খাতে শীর্ষস্থানীয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রয়েছে মার্কিন কোম্পানিগুলো। বাংলাদেশে গ্যাসের বিকল্প বাজার (গ্যাসভিত্তিক শিল্পকারখানা) গড়ে উঠেনি বলে তারা বিদেশে, বিশেষ করে ভারতে গ্যাস বিক্রি করতে উঠেপড়ে লেগেছে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফরকালে বিগত সরকার গ্যাস রপ্তানির ব্যাপারে রাজি হয়নি বলেই যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সে দেশে পোশাক রপ্তানিতে কোটা ও শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়নি। টিডিএ নামক একটি বাণিজ্য আইনের আওতায় আফ্রিকাসহ এশিডীয় প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের ৭২টি দেশ মার্কিন বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার পেলেও বাংলাদেশকে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়। ভারতও বাংলাদেশকে ২৫টি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের সুবিধাদানের বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে।
এ অবস্থায় সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে চারদলীয় জোট। ক্ষমতার পালাবদলের পর মার্কিন কোম্পানিগুলো গ্যাস রপ্তানির ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সরকারকে চাপ দিতে থাকে। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রফেসর একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন এবং শূন্য হাতে দেশে ফেরেন।
তিনি পোশাক শিল্পের কোটা ও শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের অনুরোধ জানালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন অর্থনীতি বর্তমানে ভালো নয়। তবে পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের বিষয়টি এখন গ্যাস রপ্তানির সঙ্গে এক হয়ে গেছে।
যদি বাংলাদেশ গ্যাস রপ্তানি করতে রাজি হয় তবে এ সুবিধা মিলতে পারে । গ্যাস রপ্তানি হলে ভারতের কাছ থেকেও কিছু বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ গ্যাস রপ্তানিকে এক ধরনের চাপপ্রয়োগের কৌশল হিসেবে গ্রহণ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত।

গ্যাস বিক্রিতে লাভ কতটুকু
মার্কিন গ্যাস কোম্পানি সিলেটের বিবিয়ানা থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, সাগরদীঘি, কলকাতা হয়ে বিহার-উড়িষ্যা থেকে দিল্লি পর্যন্ত ১০৫০ কিলোমিটার পাইপ লাইন স্থাপন করে সরকারের কাছে যে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে তাতে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস রপ্তানির কথা বলা হয়েছে।
পেট্রোবাংলার একজন কর্মকর্তা জানান, রপ্তানি করা ১ হাজার কিউবিক ফিট গ্যাসের মূল্য যদি ২.৫ ডলার হয় তাহলে পিএসসি অনুসারে বাংলাদেশের বার্ষিক রাজস্ব আয় হবে ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ডলার। লাভের একটি গাণিতিক হিসাব দিয়ে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেছেন, যদি বাংলাদেশ রপ্তানিযোগ্য ৬ টিসিএফ ফিট ২ ডলার হিসেবেও বিক্রি করে তবে ২০ বছরে মোট আয় হবে ১২০০ কোটি ডলার।
২০০ কোটি ডলার উৎপাদন খরচের জন্য বাদ দিলেও ১০০০ কোটি ডলার সম্ভাব্য লাভ থাকবে বাংলাদেশের। তবে আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলোর খরচ ও লাভ বানে কীভাবে বাংলাদেশের ১০০০ কোটি ডলার সম্ভাব্য লাভ থাকবে তা তিনি ব্যাখ্যা করেননি। অনেকেই গ্যাস রপ্তানির লাভের এই হিসাবকে ফাঁকা বুলি হিসেবে অভিহিত করেছেন।
গত ৫ নভেম্বর, ২০০১ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ায় তেল-গ্যাস লুণ্ঠন প্রচার সেল আয়োজিত এক মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, স্বাক্ষরিত পিএসসি অনুসারে গ্যাসের ৭০ থেকে ৮০ ভাগের মালিক বহুজাতিক কোম্পানিগুলো।
সুতরাং গ্যাস রপ্তানির টাকাও বহুজাতিক কোম্পানিগুলো পাবে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ। বাকি ২০ থেকে ৩০ ভাগের টাকা পাবে বাংলাদেশ। অর্থাৎ ১০০ টাকার গ্যাস রপ্তানি করে বাংলাদেশ পাবে ৩০ টাকা। আর এই ৩০ টাকার জন্য তাকে নষ্ট করতে হচ্ছে ৩০০০ টাকার সম্ভাবনা।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায়, গ্যাসের ওপর নির্ভরতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে শীর্ষে। এ গ্যাস নিঃশেষ হয়ে গেলে দেশময় এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। সুতরাং সরকারের উচিত কোনো চাপের কাছে নতিস্বীকার না করে দেশের স্বার্থ ও ভবিষ্যৎ অবস্থা বিবেচনা করা। কারণ, এক্ষেত্রে কোনো ধরনের হঠকারিতা যেমন দেশের জন্য বিপুল ক্ষতি বয়ে আনতে তেমনি এ অবস্থা মোকাবিলা করার শক্তি অর্জন করতেও আমাদের বহু কাঠগড় পোড়াতে হবে। সুতরাং সময় থাকতেই সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে আমাদের যথাযথ কাজ।
আরও দেখুনঃ