বাংলাদেশ সংবিধানের বৈশিষ্ট্য রচনার একটি নমুনা তৈরি করবো আজ। আশা করি এটি শিক্ষার্থীদের কাজে লাগবে। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রণীত ১৯৭২ সালের সংবিধান সমগ্র জাতির জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। পাকিস্তান যেখানে তার পৃথক সংবিধান রচনা করতে প্রায় নয় বছর (১৯৪৭-১৯৫৬) এবং ভারত প্রায় তিন বছর (১৯৪৭-১৯৪৯) সময় নেয়, সেখানে বাংলাদেশে মাত্র নয় মাসে (এপ্রিল ‘৭২-ডিসেম্বর ‘৭২) ১৯৭০ সালে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যরা জাতিকে একটি সংবিধান উপহার দিতে সক্ষম হন।
দেশের প্রখ্যাত আইন বিশেষজ্ঞ তৎকালীন সরকারের আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি বিভিন্ন মহলের ৯৮টি সুপারিশের ভিত্তিতে ৭৪টি বৈঠকে ৩০০ ঘণ্টা সময়ে সংবিধান প্রণয়ন করেন। তারপর সংসদে মুক্ত বিতর্কের মাধ্যমে ৪ নভেম্বর ১৯৭২ বিপুল ভোটাধিক্যে এটি গৃহীত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘৭২ থেকে তা কার্যকর হয়।
Table of Contents
বাংলাদেশে শাসনতন্ত্র রচনার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস :
স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই সংবিধান রচনার কাজ শুরু হয়। ১১ জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান অস্থায়ী শাসনতান্ত্রিক আদেশ জারি করেন। সে আদেশ অনুযায়ী ১৯৭০-এর নির্বাচনে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্যগণ গণপরিষদের সদস্য হন। আর ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ গণপরিষদ আদেশ জারি করেন। তারপর ১৯ এপ্রিল গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন আহ্বান করা হয় এবং তৎকালীন আইনমন্ত্রী কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটি ৭১টি অধিবেশনে শাসনতন্ত্রের খসড়াটি তৈরি করেন এবং ১০ জুন এর শেষ সভায় তা চূড়ান্ত করেন। তারপর ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশন। বসে এবং সে দিনই ড. কামাল হোসেন খসড়া শাসনতন্ত্রটি অধিবেশনে উপস্থাপন করেন। তারপর এর ওপর আলোচনা শুরু হয়। অবশেষে ৪ নভেম্বর খসড়াটি পরিষদে গৃহীত হয়। ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করা হয় এবং ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের শাসনতন্ত্রটি কার্যকর হয়। ১৯৭২ সালের পর থেকে বাংলাদেশের সংবিধানে এ পর্যন্ত ১৩টি সংশোধনী হয়।
বাংলাদেশ সংবিধানের বৈশিষ্ট্য:
যে কোনো সংবিধান নির্দিষ্ট কতকগুলো বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে পড়ে উঠে। বাংলাদেশের সংবিধানও এর ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশের সংবিধানের জন্মলগ্নে যেসব বৈশিষ্ট্য গৃহীত হয়েছিল সেগুলো একাধিক সংশোধনীর মাধ্যমে রদবদল হয়ে বর্তমানে প্রচলিত আছে। বাংলাদেশ সংবিধানের সর্বশেষ সংশোধনী হলো ২০০৪ সালের ১৬ মে গৃহীত চতুর্দশ সংশোধনী।
চতুর্দশ সংশোধনী অনুসারে বর্তমানে প্রচলিত বাংলাদেশ সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ :
১. প্রজাতন্ত্রের প্রস্তাবনা :
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের ১ নম্বর অনুচ্ছেদের ১ নম্বর ধারায় বর্ণিত প্রজাতন্ত্রের প্রস্তাবনা অনুযায়ী বাংলাদেশ একটি একক, স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র, যা পণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নামে পরিচিত। প্রজাতন্ত্রের প্রস্তাবনায় আরো বলা হয়েছে, স্বাধীনতা ঘোষণার পূর্বে যেসব এলাকা নিয়ে পূর্ব পাকিস্তান গঠিত ছিল, স্বাধীনতার পর সেসব এলাকা নিয়েই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ গঠিত হবে ।
২. রাষ্ট্রীয় মূলনীতি :
১৯৭২ সালের বাংলাদেশ সংবিধানের ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ছিল চারটি । যেমন : ক. জাতীয়তাবাদ, খ. গণতন্ত্র, গ. সমাজতন্ত্র ও ঘ. ধর্মনিরপেক্ষতা। পরবর্তীকালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে এ মূলনীতিগুলোতে নিম্নলিখিতভাবে পরিবর্তন আনেন : ক. সর্বশক্তিমান আল্লাহতায়ালার ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস, খ. বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, গ, গণতন্ত্র এবং ঘ, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার এ অর্থে সমাজতন্ত্র।
৩. মৌলিক অধিকার:
সংবিধানের তৃতীয় ধারায় নাগরিকদের ব্যক্তিত্ব বিকাশের পথ উন্মুক্ত করার তাগিদে কতগুলো মৌলিক অধিকার সংবিধানে লিপিবদ্ধ করা হয়। যেমন-সাম্যের অধিকার; চলাফেরা, সভা-সমিতি, চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা; বাক-স্বাধীনতা; সম্পত্তির অধিকার; ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রভৃতি অত্যাবশ্যক ও স্বাভাবিক মানবিক অধিকারগুলো এর অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু সংসদ প্রায় সকল অধিকারের ওপর আইনের দ্বারা যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ আরোপ করতে পারে।
৪. নাগরিকত্ব :
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের ৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিক ‘বাংলাদেশী’ বলে পরিচিত হবে এবং তাদের এ নাগরিকত্ব আইনের দ্বারা নির্ধারিত হবে।
৫. পার্লামেন্টারি পদ্ধতির সরকার ও পার্লামেন্টের প্রাধান্য:
সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার প্রবর্তন করা হয়। রাষ্ট্রপ্রধান হবেন নিয়মতান্ত্রিক প্রধান এবং মন্ত্রিপরিষদসহ প্রধানমন্ত্রী হবেন প্রকৃত শাসক। মন্ত্রিপরিষদ সদস্যগণ একক ও যৌথভাবে সংসদের নিকট দায়ী থাকবেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, ব্রিটেনে প্রচলিত সংসনীয় রীতিনীতিগুলো বাংলাদেশের সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
৬. শাসনতন্ত্র বা সংবিধানের সার্বভৌমত্ত্ব :
বাংলাদেশ সংবিধানে শাসনতন্ত্রের সার্বভৌমত্ত্বের বিধান রয়েছে। এখানে সংবিধান বা শাসনতন্ত্রই হলো দেশের সর্বোচ্চ আইন। তাই সংবিধানের সাথে সঙ্গতিহীন যে কোনো আইন বাতিল বলে গণ্য হবে।
৭. জনগণের সার্বভৌমত্ব:
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার মালিক জনগণ এবং জনগণের পক্ষে সংবিধান অনুযায়ী নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এ ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়।
৮. শাসনতন্ত্র বা সংবিধানের প্রাধান্য :
শাসনতন্ত্রের যে কোনো ধারা সংশোধন বা রদবদল করার জন্য পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়াংশের সম্মতিসূচক প্রস্তাব বা ভোট গ্রহণের বিধান সংবিধানে রয়েছে। তাছাড়া যুদ্ধ ঘোষণা বা যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য সংসদ সদস্যদের সম্মতি প্রয়োজন।
৯. বিচার বিভাগের স্বাতন্ত্র্য ও স্বাধীনতা :
বাংলাদেশ সংবিধানের বিধান মোতাবেক বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট নামে অভিহিত হবে। আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগ নিয়ে গঠিত এই সুপ্রিম কোর্ট শাসন বিভাগ থেকে পৃথক থাকবে। সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রের নির্বাহী অর্থাৎ প্রশাসনিক অঙ্গসমূহ থেকে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করা হবে।
১০. সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল
সংবিধানে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং সংবিধানের পঞ্চম
সংশোধনী অনুযায়ী এটি শুধু ‘কাউন্সিল’ নামে অভিহিত হবে। প্রধান বিচারপতি এবং সর্বাপেক্ষা প্রবীণতম দুজন বিচারপতি নিয়ে এ কাউন্সিল গঠিত, যাদের প্রধান কর্তব্য হলো বিচারকদের জন্য অবশ্য পালনীয় আচরণবিধি নির্ধারণ করা।
১১. এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র :
বাংলাদেশে যেহেতু কোনো প্রদেশ নেই, সেহেতু এখানে সরকারের সকল ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ন্যস্ত থাকবে এবং দেশে এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা প্রচলিত থাকবে। ১২. দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান : বাংলাদেশ সংবিধান সংশোধনগত দিক থেকে দুষ্পরিবর্তনীয়। একে পরিবর্তন করতে হলে দরকার শিরোনাম, সংসদের দুই-তৃতীয়াংশের সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন ।
১৩. এক কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা :
বাংলাদেশের আইনসভা এক কক্ষবিশিষ্ট। এর নাম জাতীয় সংসদ । মার্কিন স্থপতি লুই ক্যানের নির্দেশনায় শেরে বাংলা নগরে এটি নির্মিত হয়েছে।
১৪. মহিলা নাগরিকদের অবস্থান :
বাংলাদেশ সংবিধানে জাতীয় জীবনের সর্বত্র মহিলা নাগরিকদের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা বিধানের ব্যবস্থা রয়েছে। সংবিধানের ২৮ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ ভেদে বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করবে না। ২৮ (২) ধারায় বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী পুরুষের সমান অধিকার লাভ করবেন।’ ৬৫ (৩) ধারায় নারীর জন্য জাতীয় সংসদের আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে এবং এ ধারার অধীনে স্থানীয় শাসনসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানসমূহে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে।
১৫. মালিকানা নীতি :
বাংলাদেশ সংবিধানের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো এখানে তিন শ্রেণীর মালিকানার নীতিকে স্বীকার করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে ১. রাষ্ট্রীয় মালিকানা, ২ সমবায় মালিকানা, ৩. ব্যক্তিগত মালিকানা ।
১৬. ইংরেজি পাঠের প্রাধান্য:
বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী শাসনতন্ত্রের ইংরেজি ও বাংলা পাঠের মধ্যে কোনো বিরোধ বা পার্থক্য দেখা দিলে ইংরেজি পাঠ বলবৎ থাকবে।
১৭. সংসদ সদস্য নিয়ন্ত্রণ :
বাংলাদেশ সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা ও সরকারের স্থিতিশীলতার স্বার্থে সংসদে সদস্যপদ নিয়ন্ত্রণ করা আবশ্যক। এ উদ্দেশ্যে বিধান করা হয় যে, কোনো সদস্য তার দল ত্যাগ করলে অথবা বহিষ্কৃত হলে সংসদে তার পদ শূন্য বলে গণ্য হবে ।
১৮. ন্যায়পাল :
বাংলাদেশ সংবিধানের ৭৭ অনুচ্ছেদে ন্যায়পালের বিধান রয়েছে। ন্যায়পাল যে
কোনো মন্ত্রণালয় ও সরকারি কর্মচারীর যে কোনো কার্য সম্পর্কে তদন্ত করতে পারবেন ।
১৯. সর্বজনীন ভোটাধিকার :
বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী ন্যূনতম আঠারো বছরের ঊর্ধ্বে যে কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার যোগ্য। এক ব্যক্তি এক ভোট—এ নীতিই বাংলাদেশ সংবিধানের সর্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তি।
২০. প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল :
সাধারণ বিচার বিভাগ ছাড়াও বাংলাদেশ সংবিধানে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের নিয়োগ, বদলি, বরখাস্ত, পদোন্নতি, দ ও কর্মের মেয়াদ, রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগ ও সম্পত্তি পরিচালনা এবং ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত বিষয়সমূহের ওপর প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার থাকবে। এ সমস্ত বিষয়ে সাধারণ আদালতগুলোর কোনো এখতিয়ার থাকবে না। ব্রিটেন, ভারত বা যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল নেই ।

উপসংহার :
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান হলো বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার মূল লিখিত দলিল। এতে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, শাসক-শাসিতের সম্পর্ক, অধিকারের প্রশ্ন ইত্যাদি বিষয়ে সাংবিধানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। রাষ্ট্রের প্রধান লক্ষ্য যেহেতু জনগণ, সেহেতু রাষ্ট্র জনগণের প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করে যুগোপযোগী করে তোলে।
বাংলাদেশ সংবিধানও একই কারণে এ পর্যন্ত ১৪ বার সংশোধিত হয়েছে। তবে এর মধ্যে ছয়টি সংশোধনী (৫ম-১০ম) আনা হয়েছে সামরিক শাসনামলে । সংবিধানের একাদশ ও দ্বাদশ সংশোধনী ছাড়া অন্যান্য সংশোধনী এসেছে স্ব স্ব সরকারের ব্যক্তিগত স্বার্থকে কেন্দ্র করে। বাংলাদেশ সংবিধানে ১টি প্রস্তাবনা, ১১টি ভাগ, ১৫৩টি অনুচ্ছেদ এবং ৪টি তফসিল রয়েছে। এগুলো জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তব প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলেছে। তাই বাংলাদেশের সংবিধান বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছে পবিত্র ও অমূল্য সম্পদ।
আরও দেখুনঃ