Site icon Bangladesh Gurukul [ বাংলাদেশ গুরুকুল ] GDCN

সাবমেরিন ক্যাবল ও বাংলাদেশ রচনা

সাবমেরিন ক্যাবল ও বাংলাদেশ

সাবমেরিন ক্যাবল ও বাংলাদেশ রচনার একটি নমুনা তৈরি করে দেয়া হল। আশা করি এটি শিক্ষার্থীদের কাজে লাগবে। তবে আমরা রচনা মুখস্থ করায় নিরুৎসাহিত করি। আমরা নমুনা তৈরি করে দিচ্ছি একটা ধরনা দেবার জন্য। এখান থেকে ধারণা নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিজের মতো করে নিজের ভাষায় রচনা লিখতে হবে।

Information is Power’ অর্থাৎ ‘তথ্যই শক্তি’, এ আহ্বানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ এ বছরেরই কোনো এক শুভলগ্নে যুক্ত হতে যাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি মহাসড়ক (Information Technology Super Highway) নামে খ্যাত সাবমেরিন ক্যাবল লিঙ্কের সাথে।

 

 

সাবমেরিন ক্যাবল ও বাংলাদেশ

সাবমেরিন ক্যাবল লিঙ্কের সাথে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়াটা এ দেশবাসীর জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। এর ফলে বাংলাদেশ সরাসরি যুক্ত হয়ে যাবে Global Village-এর সাথে এবং সূচনা হবে এক নতুন দিগন্তের। অর্থনীতিতে আসবে নতুন জোয়ার। স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প, শিক্ষা সবক্ষেত্রে যুক্ত হবে নতুনত্ব ।

উক্ত খাতগুলোর আন্তর্জাতিক মান অর্জন করা সম্ভব হবে। আবার সাবমেরিন ক্যাবল লিঙ্কের সুবাদে বাংলাদেশ যুক্ত হবে গ্লোবাল টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক (Global Telecommunication Network)-এর সাথে । সে সাথে খুলে যাবে দেশের অভ্যন্তরীণ আন্তর্জাতিক যোগাযোগ এবং ব্যবসায়-বাণিজ্যের নতুন দ্বার।

সাবমেরিন ক্যাবলের প্রযুক্তিগত দিক

বর্তমান বিশ্বে তিন ধরনের কমিউনিকেশন ব্যবস্থা চালু আছে। প্রথমটি হলো কো-এক্সিয়াল ক্যাবল (Co-axial Cable)-এর মাধ্যমে একস্থান থেকে অন্যস্থানে ভয়েস (Voice), টেলিগ্রাফ ইত্যাদি প্রেরণের মাধ্যমে যোগাযোগ। দ্বিতীয়টি হলো রেডিও (Radio) বা মাইক্রোওয়েভ (Microwave) কমিউনিকেশন সিস্টেম, অর্থাৎ মাইক্রোওয়েভের মাধ্যমে স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থায় অডিও, ভিডিও সঙ্কেত বা তথ্যকে একস্থান থেকে অন্যস্থানে এমনকি এক দেশ থেকে অন্য দেশে প্রেরণ (Transmission) করার ব্যবস্থা।

এ ব্যবস্থা বিশ্বে বহুল প্রচলিত। আমরা বর্তমানে বিদেশের সাথে টেলিফোন, ইন্টারনেট যোগাযোগ এ কমিউনিকেশন ব্যবস্থায় করে থাকি। কিন্তু উল্লিখিত পদ্ধতিটি ব্যয়বহুল ও ডেটা পাঠানোর হার (Data Transmission Rate) অত্যন্ত কম হওয়ায় যোগাযোগ সহজভাবে করা সম্ভব হয় না। অধিকন্তু এর ব্যান্ডউইথ (Bandwidth) কম বিধায় একসাথে অনেক ডেটার আদান-প্রদান ব্যাহত হয়। আর কপার তার বা কো-অ্যাক্সিয়াল ক্যাবলের ব্যান্ডউইথ তো একেবারেই কম। এর দ্বারা মাত্র স্বল্প দূরত্বে কমিউনিকেশন ঘটানো সম্ভব।

 

 

দেশের অভ্যন্তরে মাইক্রোওয়েভ যোগাযোগ ব্যবস্থায় ডেটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বা দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে পাঠানোর জন্য ভূমি থেকে ভূমিতে Antena-এর প্রয়োজন হয়, বর্তমানে বিটিটিবি যেভাবে ডিজিটাল ও মোবাইল ফোনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছে, তৃতীয় যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সারা বিশ্বে চলমান তা হলো ফাইবার অপটিক যোগাযোগ (Fiber-optic Communication System) ব্যবস্থা যার ব্যান্ডউইথ (Bandwidth) অনেক বেশি।

GHz থেকে 5 GHz প্রায় যা কিনা মাইক্রোওয়েভ (Microwave) যোগাযোগ ব্যবস্থার চেয়ে বহুগুণ বেশি কার্যকরী। অর্থাৎ প্রচুর ডেটা বা ইনফরমেশন এক সাথে ফাইবার অপটিক কমিউনিকেশন সিস্টেমে পাঠানো সম্ভব।

আলোচ্য সাবমেরিন ক্যাবলের যোগাযোগ ব্যবস্থাই হলো ফাইবার অপটিক কমিউনিকেশন সিস্টেম। এ সিস্টেমে ট্রান্সমিটার (Transmitter) থেকে রিসিভারে (Receiver) ডেটা আদান-প্রদানের মাধ্যমে Media হিসেবে, অর্থৎ ট্রান্সমিটার ও রিসিভারের মাঝখানে অপটিক্যাল (Optical Fiber) করা হয়, যা নিছক একটি কাচতত্ত্ব বা কাচতত্ত্বর সমষ্টি যার মধ্য দিয়ে তথ্যকে আলোক সঙ্কেতরূপে এ থেকে রিসিভারের দিকে পাঠানো হয়।

কো-অ্যাক্সিয়াল (Co-axial) ক্যাবলের মাধ্যমে তথ্যকে দেখাে তড়িৎ সঙ্কেতরণে ও স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনে যেভাবে রেডিও তরঙ্গ আকারে আলোর গতিতে সঙ্কে পাঠানো হয়. সেভাবে উক্ত ব্যবস্থায় ডেটা বা ইনফরমেশনকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে আলোক (Optical Signal) রূপে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে পাঠানো হয়।

অর্থাৎ, যে তথ্য আমরা পাঠাতে চাই সে তথ্যকে ট্রান্সমিটারে ইনস্টল করা ডিভাইসের (Device) মাধ্যমে তড়িৎ সংকেতকে আলোক সঙ্গ রূপান্তরিত করে অপটিক্যাল ফাইবারের গ্রহণ মুখে ছেড়ে দেয়া হয় এবং অপর প্রান্তে রিসিভার ডিজাইসে গ্রহণ করে আলোক থেকে পরিবর্তন করে ওড়িৎ সংকেত রূপে হুবহু উদ্ধার করা হয়। সাবমেরিন শা লিঙ্ক ব্যবস্থায় তথ্যকে আলোক সংকেতরূপে সাগরের তলদেশ দিয়ে মাইলের পর মাইল পাঠানো যা মাঝে মাঝে রিপিটার (Repeater) বা অ্যামপ্লিফায়ার (Amplifier) লাগানো হয় সংকেতকে বিবর্ধিত করতে বা তার পুরো অস্থিত্বকে টিকিয়ে রাখতে।

সাবমেরিন ক্যাবলের ইতিহাস

১৮৭০ সালে বিজ্ঞানী জন টাইডাল দুটি কন্টেইনার (পাত্র) নিয়ে তাদের পরস্পরের মধ্যে একটি স্বচ্ছ জেটপাইপ যুক্ত করেন। একটি কন্টেইনারকে নিচে ও অপর কন্টেইনারকে উঁচুতে রাখেন। ফলে উপরের কন্টেইনার থেকে পানি নিচের কন্টেইনারে পড়তে থাকে। উপরের কন্টেইনারে সূর্যরশ্মি আনতভাবে পড়ার ফলে পাইপের ভেতরে একটি আঁকাবাঁকা (Zigzag) লাইটের গমনাগমন দৃষ্টিগোচর হয়।

এ থেকে তিনি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, এ আলোকরশ্মির সাথে কোনো ইনফরমেশন বা তথ্যকে আলোক সংকেতে রূপান্তরিত করে মিশিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাঠানো যেতে পারে। এটিই হলো লাইট ট্রান্সমিশনের প্রথম পরীক্ষা। এভাবেই সাবমেরিন ক্যাবল লিঙ্কের সাহায্যে তথ্যকে এক স্থান থেকে অন্য বহু দূরবর্তী স্থানে পাঠানো যায়।

১৯৫৬ সালে TAT | (Trans Atlantic-1) নামে কো-অ্যাক্সিয়াল ক্যাবল (কপার তার)-এর মাধ্যমে প্রথম যাত্রা শুরু হয়। এটি ব্রিটেন ও কানাডার মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে। এর মাধ্যমে মোটামুটি ২৪০টি ফোন একসাথে কথা আদান-প্রদান করতে পারতো। পরবর্তীতে ইউরোপ ও আমেরিকার মধ্যে TAT 2. TAT J থেকে শুরু করে TAT 7 পর্যন্ত কো-অ্যাক্সিয়াল ক্যাবলের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছিল।

TAT-8-এর মাধ্যমে প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের যাত্রা শুরু হয় আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৮৮ সালে, যার মাধ্যমে ডেটা স্থানান্তরে ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) চ্যানেলকে একসাথে চালু (Active) রাখা সম্ভব হয়। উল্লেখ্য, আমেরিকার বেল ল্যাবরেটরি (Bell Laboratory) থেকে TAT-8-এর প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছিল। তারপর পর্যায়ক্রমে TAT 1 2 3 TAT 13 পর্যন্ত ফাইবার অপটিক লিঙ্ক স্থাপন করা হয়েছিল।

 

 

ছক-১ (সাবমেরিন ক্যাবল লিঙ্ক )

সিস্টেম TAT-8 TAT 10 TAT-12/13 SEA-ME-WE-2
যাত্রা শুরু ১৯৮৮ ১৯৯২ ১৯৯৫ ১৯৯৫
মহাসাগর আটলান্টিক আটলান্টিক আটলান্টিক আটলান্টিক থেকে ভারত মহাসাগরে
ডেটা ট্রান্সমিশন হার (Rate) ২৭৮ মেগাবিট/ সেকেন্ড ৫৬৫ মেগাবিট/ সেকেন্ড ৫ গিগাবিট/সেকেন্ড (5 Gbit/Sec) ৫ গিগাবিট/সেকেন্ড

 

বাংলাদেশ যে অংশের সাথে যুক্ত হয়েছে

আটলান্টিক মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, উত্তর মহাসাগর, ক্যারিবিয়ান সাগর, ভূমধ্যসাগরের উপকূলের দেশগুলো বিভিন্ন লিঙ্ক: যেমন – TPC-S Network TAT-8 TAT 10. HAW 5, Columbers 11 SEA-ME-WE-2 ইত্যাদির সাথে তাদের নিজ নিজ সুবিধা অনুযায়ী যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ যুক্ত হয়েছে সাবমেরিন ক্যাবল লিঙ্ক সিগমেন্ট SEA ME-WF 2-এর সাথে। এর মূল লাইন এসেছে ফ্রান্স থেকে এবং শেষ হয়েছে সিঙ্গাপুরে, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ২২,০০০ কিলোমিটার ।

এছাড়া আরব, আফ্রিকা, ভারত এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশও এ সিপমেন্টে যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ প্রজেক্টের কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু ব্যান্ড উইথ (Bandwidth) ভাগাভাগি ও সংযোগ দেয়ার পালা। মূল সিগমেন্টের সাথে ফাইবার অপটিক ওয়ারিং (Wining) সম্পন্ন হয়েছে।

বিটিটিবি (BTTB) কক্সবাজার উপকূলে স্থাপন করেছে একটি সুপরিসর ল্যান্ডিং স্টেশন (Landing Station)। এছাড়া কক্সবাজার থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার লিঙ্ক বসানো হচ্ছে। চলতি বছরেই কোনো এক দিনে এর শুভ উদ্বোধন আশা করা যাচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে এরপর বিটিটিবির টেলি কমিউনিকেশন ব্যবস্থায় সারা দেশে ল্যান্ডফোন, সেলুলার ফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদির সংযোগ দেয়া হবে ।

বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনা

সাবমেরিন ক্যাবল লিভের সাথে বাংলাদেশের সংযুক্তি দেশের জন্য করে আনবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও কল্যাণ । সর্বোপরি টেলিকমিউনিকেশন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসায় খাতগুলো হবে সমৃদ্ধ। উক্ত যাতগুলোর প্রতিটিতেই যুক্ত হবে নতুন নতুন মাত্রা। ফলে দেশের জিডিপি (GDP)-তে এর প্রভাব পরিলক্ষিত হবে। সাবমেরিন ক্যাবল লিঙ্কের সুবাদে এ দেশবাসী যেসব ক্ষেত্রে সুবিধা পাবে তা নিচে আলোচিত হলো

১. টেলিকমিউনিকেশন

পশ্চিমা বিশেষজ্ঞগণ বহু আগে থেকেই ফিল্ড রিসার্চ (Field Research)- এর মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, আসছে দশকগুলোতে টেলিকমিউনিকেশন খাতে শুধু দক্ষিণ এশিয়াতেই কয়েক কোটি বিলিয়নস (Billions) ডলারের ব্যবসা হবে। ফলে দক্ষিণ এশিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশও এর সুফল ভোগ করবে।

দেশে বর্তমানে বিটিটিবির এনালগ ও ডিজিটাল ল্যান্ডফোন ব্যবহারকারী ছাড়াও রয়েছে সরকারি-বেসরকারি চারটি (৪টি) অপারেটরের মাধ্যমে প্রায় অর্ধ কোটি সেলুলার ফোন ব্যবহারকারী। দেশের বহু যুবক সেলুলার ফোনভিত্তিক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত আছে। সাবমেরিন ক্যাবল লিঙ্কের সাথে বাংলাদেশের সংযোগের ফলে আন্তর্জাতিক কলরেট (টাকায়) অনেক কমে আসবে।

এখন যেখানে (প্রতি মিনিট) কলরেট ১৫ টাকা ২৫ টাকা, তখন তা হবে ২ টাকা-৩ টাকা মাত্র। গ্লোবাল টেলিকমিউনিকেশনের সাথে দেশের সংযুক্তি টেলিকমিউনিকেশনে সূচনা করবে এক নতুন বিপ্লবের

২. ইন্টারনেট সংযোগ

ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডেটার আদান-প্রদান বর্তমানে এ দেশে স্যাটেলাইট (Satelite): কমিউনিকেশনের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। যার ফলে ডেটা আদান-প্রদানের হার (Date Transmission Rate) অনেক কম অর্থাৎ বিলম্বিত হচ্ছে। সাবমেরিন ক্যাবল লিঙ্ক মূলত ব্রডব্যান্ড লাইন হওয়াতে একসাথে বহু ডেটা পাঠানো যাবে ও গ্রহণ করা যাবে। সেই সাথে ডেটা আদান-প্রদানের গতি বেড়ে যাওয়ায় সময়ও কম লাগবে। এছাড়া মেইল পাঠানোর খরচ একেবারে কমে যাবে। ফলে নেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানের চেয়ে বহুগুণ বেড়ে যাবে।

৩. ব্যবসায়-বাণিজ্য

বিশ্ববাসী তাদের ব্যবসায়-বাণিজ্য প্রসারের জন্য ই-কমার্স বা ই-বিজনেস (E busaness) সিস্টেমের ওপর অত্যধিক পরিমাণে নির্ভরশীল। উৎপাদিত পণ্যকে বিশ্বব্যাপী চাহিদা সৃষ্টি করতে E-commerce সিস্টেমের কোনো বিকল্প নেই । ই-কমার্স সিস্টেমের সুবাদে খুব সহজে এক দেশের পণ্যকে অপর দেশ অনলাইনের মাধ্যমে দেখতে পারছে, জানতে পারছে পণ্যের দাম, গুণাগুণ ইত্যাদি।

এছাড়া অনলাইনে পণ্যের অর্ডারও দিতে পারছে। ফলে যে কোনো পণ্যের বিশ্বব্যাপী বাজার সৃষ্টির রাস্তা খুলে যাচ্ছে । বাংলাদেশ এ সুবাদে সারা বিশ্বে দেশীয় পণ্যের বাজার সৃষ্টি করতে পারবে। সে সাথে বাংলাদেশের বাজার অর্থনীতি হবে শক্তিশালী। এভাবে গ্লোবালাইজেশনের এ যুগে দেশীয় পণ্য যেভাবে মার খাচ্ছে, তার হাত থেকে অনেকটা রক্ষা পাবে।

দেশে বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু বিদেশে উক্ত পণ্যের প্রচুর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ক্রেতাদের কাছে পণ্য সংক্রান্ত সঠিক তথ্য না থাকার কারণে রপ্তানি সম্ভব হে সাবমেরিন ক্যাবল লিঙ্কের মাধ্যমে দেশবাসী তাদের পণ্যকে সারা বিশ্বে রপ্তানি করতে পারবে।

 

 

৪. আইটি ইন্ডাস্ট্রি

বাংলাদেশ সফটওয়্যার তৈরি ও রপ্তানিতে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি দেশ। এ দেশের সস্তা শ্রমের কারণে উন্নত দেশগুলো বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার বাংলাদেশী প্রোগ্রামার র করিয়ে নিচ্ছে অতি সহজে। সম্প্রতি বড় অঙ্কের টাকার গেমস সফটওয়্যার বাংলাদেশ থেকে নিয়েছে আমেরিকা। সে সাথে সফটওয়্যার রপ্তানির এক দরজা খুলে গেছে।

তথ্যপ্রযুক্তি মহাসড়কের সাথে বাংলাদেশের সংযোগে উন্নত দেশগুলোর সাথে খুলে যাবে যোগাযোগের নতুন দ্বার। ফলে এ খাতে আরও উন্নতি আশা করা যায়। এছাড়া এ মুহূর্তে দেশে দক্ষ প্রোগ্রামার তৈরি করে আমরা সফটওয়্যার রপ্তানির পথকে সুগম করতে পারি ।

আইটি সম্পর্কযুক্ত অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হচ্ছে ডেটা এন্ট্রি খাত। এ খাতে বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। দেশের যুবকদের (বেকার) সামান্য ট্রেনিং দিয়ে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করানো যায়। আর তথ্যপ্রযুক্তি মহাসড়কের সুবাদে যে কোনো দেশ থেকে ডেটা এন্ট্রির কাজ পাওয়াও হবে সুবিধাজনক।

ফলে বাংলাদেশ বেকার সমস্যা সমাধানে অনেকটা এগিয়ে যাবে এবং যুব কর্মসংস্থানে নতুনত্বের সূচনা হবে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিটি জেলাতে প্রাথমিকভাবে কমপক্ষে একটি ডেটা এন্ট্রির কাজ ও সফটওয়্যার তৈরির প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারলে তা এক সময় কুটিরশিল্পের পর্যায়ে চলে আসবে। আর এর জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা, উদ্যোকা তৈরিতে উৎসাহ প্রদান ও অনলাইনে বিদেশী বাজারকে ধরা।

৫. শিক্ষাক্ষেত্র

আমাদের দেশে শিক্ষার মান নিম্নমুখী। বর্তমান বিশ্বে শিক্ষা কারিগরি জ্ঞানে যে দেশ যত বেশি উন্নত, অর্থনৈতিকভাবেও সে দেশ তত বেশি উন্নত, শুধু কয়েকটি খনিজসম্পদে সমৃদ্ধ দেশ ব্যতীত। এ সময়ে অন্যান্য দেশের ছেলেমেয়েরা যেখানে ল্যাপটপ নিয়ে ঘুরছে সেখানে আমাদের দেশের একই স্তরের ছেলেমেয়েরা ক্যালকুলেটর চালাতে পারছে না।

তাছাড়া দেশের হাতে গোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বাদে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলে। যেসব ছাত্র প্রতি বছর বো করছে, তারা যথেষ্ট স্কিলড হচ্ছে না। তাই শিক্ষার্থীদের স্কিল ডেভেলপ হওয়া খুবই জরুরি। সাবমেরিন ক্যাবল লিঙ্কের সুবাদে বাংলাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা অবাধ ও সহজ হবে, বিদেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে চুক্তির মাধ্যমে অনলাইন ডিগ্রি অর্জন সম্ভবপর হবে।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিদেশে ভর্তি হয়ে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া স্টাডি উপকরণ অনুসরণ করে অনলাইনে পরীক্ষা দিয়ে ডিপ্লোমা থেকে শুরু করে পিএইচডি পর্যন্ত করা যাবে। এভাবে উন্নত ডিগ্রি অর্জনসহ নিজস্ব দক্ষতা অর্জন সহজ হবে। ক্যাবল লিঙ্কের সুবাদে অপর একটি বিষয় সম্ভব হচ্ছে তা হলো ভিডিও কনফারেন্সিং।

ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এ দেশে বসেই বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী, প্রফেসর বা বিশেষজ্ঞগণের সাথে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে নিজের এবং দেশের জটিল সমস্যা সমাধানে সাহায্য নেয়া যাবে। এর দ্বারা দেশী বিশেষজ্ঞগণ। একসাথে কয়েকটি দেশের বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে আলোচনার মাধ্যমে বড় বড় সমস্যা সমাধানসহ জরুরি পরামর্শ নিতে পারবেন।

৬. শিক্ষক প্রশিক্ষণ

কোনো দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে শিক্ষক প্রশিক্ষণ । প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অভাবে বিশেষ করে মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার মান হচ্ছে নিম্নমুখী। এর জন্য শিক্ষক প্রশিক্ষণ অতীব জরুরি। কিন্তু দেশে যতটুকু প্রশিক্ষণ হচ্ছে তা যথেষ্ট নয় বিধায় ব্রিটেন কানাডা, আমেরিকা ও ইউরোপীয় অন্যান্য দেশগুলো থেকে অনলাইন এডুকেশনে বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং নেয়া 3 ডিগ্রি অর্জন করা সম্ভব। এভাবে বিদেশী ট্রেনিং ও ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষকদের সক্ষতার মান অনেক বেড়ে যাবে। যার ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হবে।

৭. স্বাস্থ্যক্ষেত্র

চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নতি উল্লেখযোগ্য নয়। দেশে প্রতি ২০,০০০ জনের জন্য মাত্র একজন সরকারি ডাক্তার রয়েছে। দেশে সুযোগসুবিধা কম থাকার কারণে মেধাবীরা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে দেশে বিশেষজ্ঞ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আর স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ; যেমন- হার্ট ডিজিজ, ডায়াবেটিস, জন্ডিস, ক্যান্সার, হাপানি ইত্যাদির প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে।

এসব রোগীর মধ্যে যারা পারছে বিদেশে চলে যাচ্ছে। সে সাথে দেশী মুদ্রা বিদেশে চলে যাচ্ছে। সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে বাংলাদেশের সংযোগের ফলে দেশের স্বাস্থ্য খাতেও দেখা দিবে এক নতুন সম্ভাবনা। দেশের কোনো রোগী অনলাইনে বিদেশী বিভিন্ন ডাক্তারের সাথে কথা বলে পরামর্শ নিতে পারবে। টেলিমেডিসিন সেবা দান পদ্ধতিতে দেশে বসেই বিদেশী ডাক্তারদের দ্বারা সরাসরি চিকিৎসা নেয়া যাবে।

এছাড়া আমাদের দেশের ডাক্তারগণ জটিল রোগের অথবা জটিল সার্জারির ব্যাপারে উন্নত দেশের মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে পরামর্শ নিতে পারবেন। অর্থাৎ দেশে বসেই বিদেশী স্বাস্থ্যসেবা শেয়ার করতে পারবে বলে আশা রাখি।

 

 

৮. পল্লী উন্নয়ন

এ দেশের প্রায় শতকরা আশিজন লোক পল্লীতে বাস করে। তাই শতকরা আশি ভাগ লোককে বাদ দিয়ে দেশের উন্নতি কল্পনা করা যায় না। তথ্যপ্রযুক্তি মহাসড়কের সাথে বাংলাদেশের সংযোগ পল্লী অঞ্চলেও জ্বেলে দিবে আশার আলো পল্লী অঞ্চলেও সেলুলার ফোন ব্যবহারকারীর মতো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। ফলে পল্লী অঞ্চলের মানুষও যুক্ত হবে গ্লোবাল নেটওয়ার্কের সাথে, মানুষ জানতে পারবে বিশ্ব সম্বন্ধে ও পরিচিত হবে নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে। সে সাথে পল্লী অঞ্চলে সর্বদিকে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে এবং দেশবাসী এর সুফল ভোগ করবে।

৯. পর্যটন শিল্পের বিকাশ

পর্যটনশিল্প বিকাশে বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ; যেমন — সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ভারত পর্যটন শিল্পে বার্ষিক আয় করছে কোটি কোটি ডলার। বাংলাদেশেও রয়েছে সোনারগাঁও, কক্সাবাজার সমুদ্র সৈকত, ঢাকার লালবাগ কেল্লা, বগুড়ার মহাস্থানগড়, কুমিল্লার ময়নামতি, সুন্দরবন ও কুয়াকাটার মতো স্থান। বর্তমানে ইনফরমেশনের যুগ হওয়ার পরও আমরা পর্যটন স্পটগুলোকে বাইরে তুলে ধরতে পারছি না।

বিদেশী পর্যটকদের কাছে যতটুকু ইনফরমেশন থাকে ততটুকু দ্বারা তারা পুরোপুরি সুবিধা ভোগ করতে পারে না অনলাইল সুবিধা না থাকার কারণে। আলোচ্য লিঙ্কের সাথে যুক্ত হলে এবং দেশের প্রতিটি স্পটকে অনলাইনে সংযোগ দিতে পারলে পর্যটকদের কাছে স্থান নির্বাচনের পূর্বপ্রস্তুতিসহ হোটেল-মোটেল ভাড়া করা ও বুকিং দেয়া সহজতর হবে। এভাবে সাবমেরিন ক্যাবল লিঙ্ক পর্যটন শিল্প বিকাশে সহায়ক হবে।

১০. ই-গভর্নেন্স

সম্প্রতি বাংলাদেশে ই-গভর্নেন্স সেবা চালু হয়েছে। প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে শুরু করে উপজেলা প্রশাসন পর্যন্ত সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর যুক্ত হয়েছে ই-গভর্নেন্স সেবার নেটওয়ার্কে। যে কোনো তথ্য সচিবালয় থেকে মন্ত্রণালয়/বিভাগ, মন্ত্রণালয় বা বিভাগ থেকে অধিদপ্তরে, অধিদপ্তর থেকে জেলা, উপজেলার সব অফিসে তথ্যের ব্যাপক আদান- প্রদান সম্ভব হচ্ছে। এর মূল কেন্দ্রবিন্দুতে বসানো হয়েছে একটি ফাইল সার্ভার।

এ সার্ভার থেকে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সারা দেশে তথ্যকে ছড়ানো হচ্ছে। এর ফলে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী বা সচিবগণ প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকদের সাথে আলোচনা বা আদেশ এক যোগে জারি করতে পারবেন । সাবমেরিন ক্যাবল লিঙ্কের সুবাদে আমাদের ই-গভর্নেন্স সেবার জন্য লেনকে ক্যাবল নিজের সাথে সংযোগ দেয়া যাবে।

এর ফলে বিদেশী বিশেষজ্ঞগণ আমাদের দেশের সরকারি সেবা এবং পদ্ধতি সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা লাভ করবেন, সে সাথে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে । বাংলাদেশী অভিবাসীরাও বিদেশে বসে এ দেশের তৃণমূল প্রশাসনের কাঠামো পর্যন্ত অতি স জানতে পারবে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে

১১. অর্থনীতি :

সাবমেরিন ক্যাবল লিঙ্কের আগমন দেশের স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প (বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত শিল্প) টেলিকমিউনিকেশন ও পর্যটন ইত্যাদিতে যে উন্নয়ন সাধিত হবে তা-ই দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

অধিকন্তু বাংলাদেশের এসব বিষয়ে যখন উন্নয়নের জোয়ার চলবে তখন বৈদেশিক বিনিয়োগ অনেক বেড়ে যাবে। আর দেশ যখন নিজের পায়ে দাঁড়ানো শিখবে তখন বৈদেশিক সাহায্য অনেক বেড়ে যাবে এবং সামষ্টিক অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হবে। অতএব, সাবমেরিন ক্যাবল লিঙ্কের সংযোগ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে বলে বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন ।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

সরকারের করণীয়

সাবমেরিন ক্যাবল লিঙ্কের সাথে বাংলাদেশের সংযুক্তির পর বাংলাদেশ সরকারের করণীয় দিকগুলো নিচে ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করা হলো

১. ইন্টারনেট ও টেলিফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আরোপিত ট্যাক্স উঠিয়ে নেয়া ও সে সাথে তাদের ওপর সরকারি কর্তৃত্ব কার্যকরভাবে প্রতিষ্ঠিত করা। তা না হলে ক্যাবল লিঙ্কের সাথে সংযোগ হওয়ার পরও দেশবাসী কাঙ্ক্ষিত সেবা ও আশা থেকে বঞ্চিত হবে।

২. ব্রডকাস্টিং সুবিধাকে ব্যাপক করার জন্য মূল চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে কমপক্ষে ৬টি বিভাগীয় শহরে ফাইবার অপটিক ক্যাবল লিঙ্ককে বিস্তৃত করা জরুরি।

৩. যেহেতু এর ব্যান্ড উইথ অত্যন্ত বেশি (কয়েক গিগাহার্জ) তাই সংযোগের পূর্বেই বিভাগ ওয়ারি ইন্টারনেট, ল্যান্ডফোন, সেলুলার ফোনের জন্য ব্যান্ডউইথ নির্ধারণ করত পরিকল্পনা করতে হবে।

৪. প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবলম্বন পূর্বক লোডশেডিং কমাতে হবে। পল্লী অঞ্চলের জনগণ যেন সহজে এ সেবা পেতে পারে তার জন্য পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম জোরদার করতে হবে

৫. যেহেতু দেশে আইটি সম্পর্কযুক্ত শিল্প বিকাশের সম্ভাবনা ব্যাপক, তাই দক্ষ দেশী-বিদেশী ট্রেইনার দ্বারা দেশের যুবকদের প্রশিক্ষিত করতে হবে। সে সাথে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এক্সিকিউটিভদের জন্যও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে।

৬. বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশের জন্য উপযোগী আইসিটি পলিসি করতে হবে।

৭. উপজেলাভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া কমিউনিটি সেন্টার স্থাপন করতে হবে সরকারি উদ্যোগে।

৮. যেহেতু নতুন শিল্প প্রসারের সমূহসম্ভাবনা তাই বৈদেশিক বিনিয়োগ ও সাহায্য বাড়ানোর জন্য সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে।

৯. আইটি সম্পর্কযুক্ত শিল্প উদ্যোক্তাদের সুদবিহীন ঋণদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

উপসংহার

দেশের বিশাল জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি মহাসড়ক (Submarine Cable link or Information Super Highway)-এর সাথে বাংলাদেশের সংযোগের ফলে তথ্যের ব্যাপক আদান-প্রদানে তা সম্ভব হবে। তাছাড়া দেশবাসীর চিন্তা, মননশীলতারও ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। সরকারি সদিচ্ছা আর দেশীয় বিশেষজ্ঞদের নতুন নতুন উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক পরিকল্পনার মাধ্যমে উন্নত দেশগুলোর পর্যায়ে এ দেশ উঠে আসবে।

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version