বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রচনা

বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রচনার একটি নমুনা তৈরি করবো আজ। আশা করি এটি শিক্ষার্থীদের কাজে লাগবে। সারা পৃথিবীতে বর্তমানে আস্তিক লোকের সংখ্যা নাস্তিকদের তুলনায় অনেক বেশি। এ আস্তিক মানুষেরা আবার ইসলাম, খ্রিস্টান, হিন্দু, ইহুদি ধর্মসহ নানা ধর্মের অনুসারী। তাই দেখা যায়, ধর্মবিশ্বাস আন্তর্জাতিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও কোনো না কোনোভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। বিশেষ করে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ধর্মের গুরুত্ব মানুষ দিন দিন বেশিমাত্রায় উপলব্ধি করছে।

কেননা তথ্যপ্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি এবং আধুনিকতার ব্যাপকতায় মানুষ যখন অতিমাত্রায় বস্তুবাদী ধ্যান-ধারণায় ঝুঁকে পড়ছিল, ঠিক তখনই মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে এমন কতিপয় নেতিবাচক উপসর্গ উপস্থিত হয় যা মানুষকে পুনরায় ধর্মের পথে টেনে আনতে শুরু করে।

 

বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি

 

বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি

 

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশেও এ জাতীয় প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। অবশ্য বাংলাদেশের মানুষ ঐতিহ্যগতভাবেই ধর্মভীরু। ঐতিহাসিক পথপরিক্রমায় এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান প্রভৃতি ধর্মাবলম্বী মানুষ পাশাপাশি অবস্থান করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক গীতিময় ঐতিহ্য ধারণ করে আছে।

সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের বাস হলেও স্বীয় অস্তিত্ব আর মান- সম্মান নিয়ে হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধসহ অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষও এখানে স্ব স্ব ধর্ম পালন করছে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ধর্মীয় বাতাবরণকে পাশ কাটিয়ে জাতীয় চেতনায় এবং শান্তির প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রত্যেকেই সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে জীবনযাপন করছে। এ সৌহার্দো কখনো ফাটল দেখা দিলেই ঐতিহ্যগত সহমর্মিতা আর শান্তির স্বর্গীয় শিক্ষা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীকে সব সময়ই বাড়াবাড়ির পথে থেকে ফিরিয়ে রেখেছে।

ধর্মীয় আচার-আনুষ্ঠানিকতা এবং নিয়মতান্ত্রিক উপাসনার ধর্মীয় রীতি এ দেশের প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে থাকলেও ধর্মান্ধতার বিষাক্ত ছোবল এ সমাজকে এখনো আক্রান্ত করতে পারেনি।

 

বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি

 

বাংলাদেশের ধর্ম :

বাংলাদেশের ইতিহাস অনেক প্রাচীন। দীর্ঘদিনের ইতিহাসের ধারায় এখানে বিভিন্ন শাসকগোষ্ঠী যেমন শাসন করেছে, তেমনি বিকাশ লাভ করেছে বিভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি আর বিশ্বাস। তাই বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে আজও হিন্দু, বৌদ্ধ, ইংরেজ আর মুসলিম শাসকদের নানা কীর্তি চোখে পড়ে।

বর্তমানে এ দেশের প্রায় ৮৫% লোক মুসলমান। দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী হিসেবে রয়েছে হিন্দুরা। স্বাধীনতা পূর্বকালে, বিশেষ করে ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের প্রাক্কালে এ দেশে বিপুল পরিমাণ হিন্দুর বসবাস থাকলেও মূলত রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কারণেই হিন্দুরা কালক্রমে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাড়ি জমায় । ফলে তাদের সংখ্যা ক্রমে হ্রাস পেতে থাকে। অন্যদিকে ব্রিটিশ শাসনামল এবং পরবর্তীতে এনজিও কার্যক্রমের নামে খ্রিস্টান মিশনারীদের ব্যাপক তৎপরতায় এ দেশে খ্রিস্টানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

তাছড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন স্থানে যে সকল উপজাতি রয়েছে তাদের অধিকাংশই বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান। তবে তাদের অনেকেরই আবার নিজস্ব ধর্ম রয়েছে।

 

বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি

 

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বাংলাদেশ :

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অন্যতম উদাহরণ। সাম্প্রতিককালে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ উঠলেও প্রকৃতার্থে এটি দুদিক থেকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কেউ যদি সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করে থাকে তা যেমন সুযোগসন্ধানী রাজনীতিকদের নোংরামীর ফল, তেমনি যারা এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় করছে সেটাও রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির কৌশল । কারণ এ দেশের সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতায় এমন আচরণ অনুপস্থিত ।

ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলেও দেখা যায়, এ দেশের বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলেছে। ইংরেজবিরোধী আন্দোলন থেকে ভাষা আন্দোলন এবং সর্বশেষ স্বাধীনতা আন্দোলনেও এ দেশের মানুষ ধর্মীয় বাদ-বিচারের ঊর্ধ্বে ওঠে জাতীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে লড়েছে।

পাকিস্তানি শাসকরা যখন ধর্মের দোহাই দিয়ে বাঙালি জাতিকে শোষণ করছিল, তখন এ দেশের মানুষ সে শুভংকরের ফাঁকি ঠিকই বুঝতে পেরেছে। ফলে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে শোষকের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে স্বদেশ ভূমিকে মুক্ত করেছে। এ দেশের মানুষ জেনেছে ধর্মের দোহাই দিয়ে শোষণ করা কোনো শাসকের কাজ নয়, জালিমের কাজ।

বর্তমানে এ দেশে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও ঐতিহাসিক কাল থেকেই এখানে হিন্দু-মুসলমান পাশাপাশি বসবাস করে আসছে। হিন্দু-মুসলিম সৌহার্দ্যের অনেক নিদর্শন এখনো দেখা যায়। বাংলার আনাচে-কানাচে পাশাপাশি বাড়ি, পাশাপাশি ঘরে হিন্দু-মুসলিম-খ্রিস্টান বসবাস করছে, প্রতিনিয়ত পারস্পরিক লেনদেন হচ্ছে। সমমর্যাদা আর অধিকার নিয়ে এখানে সকল ধর্মের মানুষ তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবন পরিচালনা করছে।

ব্রাহ্মণ্যবাদের মিথ্যা আভিজাত্য একসময় বাঙালি সমাজে জাতিভেদ আর বর্ণভেদের দুষ্ট ক্ষত সৃষ্টি করলেও কালক্রমে তা বিলুপ্ত হয়। বিশেষ মুসলিম ভ্রাতৃত্ব ও মানসিক শিক্ষার প্রচ্ছন্ন ছায়া এবং বাঙালির ঐতিহ্যগত সৌহার্দ্য এ ক্ষতকে বিস্তৃত হতে দেয়নি।

বাংলাদেশের মানুষের আরেকটি গুণ হলো এখানে হিন্দু-মুসলমানের বাইরেও প্রতিবেশী ও সমাজের সদস্য হিসেবে তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক তাকে তারা বেশ গুরুত্ব দেয়। এখানে প্রতিটি ধর্মের মানুষ তাদের স্ব স্ব ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করে এবং একে অপরের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও রীতিনীতির প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। এমনকি একে অপরকে নিজস্ব ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ জানানোর যে ঐতিহ্যিক রীতি তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

পরধর্মের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া এবং উপভোগ করার অনুপম রীতি এখানে বিদ্যমান। তা ছাড়া পহেলা বৈশাখ, পৌষসংক্রান্তি ও পিঠা পুলির উৎসবসহ এমন কিন্তু উৎসব আছে যেখানে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটি বাঙালি এক অভিন্ন অস্তিত্বের সন্ধান খোঁজে। পরধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং প্রত্যেককে তাদের ধর্ম-কর্ম পালনের সুযোগদানের ব্যাপারে এ দেশের প্রতিটি মানুষ সজাগ । প্রতিটি মসজিদে আজানের পবিত্র ধ্বনির আবহ যেমন মানব মনকে আলোড়িত করে, তেমনি মন্দির, গির্জা কিংবা প্যাগোডায় বিনীত প্রার্থনার আকুলতাও তেমনি পবিত্র আবহ ছড়ায়।

 

বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি

 

মুসলমানদের আচার-অনুষ্ঠান ও দৃষ্টিভঙ্গি :

বাংলাদেশ নানা ধর্মের মানুষের দেশ হলেও মূলত মুসলিম জনগোষ্ঠীর আচার-অনুষ্ঠান ও দৃষ্টিভঙ্গিই জাতীয় জীবনে প্রধান। কেননা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম এ মুসলিম দেশটিতে প্রায় ১১ কোটি মুসলমানের বাস। বাংলাদেশের মুসলমানরাও বিশ্বের অন্য দশটি মুসলিম দেশের মতো যাবতীয় ধর্মীয় অনুষ্ঠান-আনুষ্ঠানিকতার ব্যাপারে যথেষ্ট যত্নবান।

ধর্মীয় কর্তব্য পালন, ধর্মের প্রতি অনুরাগ ও ধর্মীয় বিধিবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এ দেশের প্রতিটি মুসলমানেরই রয়েছে। তবে ধর্মের নামে বাড়াবাড়ি কিংবা উগ্রতা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের স্বাভাবিক চেতনায় অনুপস্থিত। ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মের অনুশাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকলেও এ দেশের মুসলমানরা তাদের এ বিশ্বাসকে অপরের ওপর চাপিয়ে দেয়ার নীতিতে বিশ্বাসী নয় ।

তাছাড়া বাংলাদেশের মুসলমানদের মাঝে ধর্মীয় কার্যকলাপ ও আনুষ্ঠানিকতায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকলেও তা তাদের পারস্পরিক সম্পর্ককে তেমন ক্ষতিগ্রস্ত করে না। বরং প্রত্যেকেই যার যার মত ও পথ অনুযায়ী ধর্মীয় অনুশাসনের অনুসরণ করে থাকে। পীর-মাশায়েখ আর আলেম-ওলামাদের দিক-নির্দেশনায় আবহমানকাল থেকেই এ দেশের প্রতিটি ঘরে ধর্মীয় শিক্ষার যে অমিয় ধারা প্রবাহিত তা শাস্তির শিক্ষা, বিধাতার ভালোবাসার শিক্ষা।

ধর্ম এ দেশের সহজ, সরল মানুষের মাঝে উগ্রতা কিংবা বিচ্ছিন্নতা নয়, ভ্রাতৃত্ব আর সৌহার্দ্যের শিক্ষাই দিয়েছে। তাই ঈদ বা ধর্মীয় সভায় মুসলমানদের যে মিলনমেলা তা প্রতিটি মানুষকেই ভ্রাতৃত্ব ও সহমর্মিতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ করে।

বাংলাদেশের মুসলমানদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, তারা বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের ওপর যে নির্যাতন ও নিপীড়ন হচ্ছে তার বিরোধী হলেও তাদের প্রতিক্রিয়া অবশ্যই শান্তিপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের গুজরাটে মুসলমানদের ওপর যে অবর্ণনীয় নির্যাতন চালানো হয় তার প্রতিক্রিয়ায় এ দেশের হিন্দুদের কোনো ক্ষতি এ দেশের মুসলমানরা করেনি। বরং এ দেশের হিন্দুরাও এ বর্বরতার নিন্দা করে। তাছাড়া বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের দুর্দশা লাঘবের জন্য বিধাতার কাছে প্রার্থনা করাকে এ দেশের মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় দায়িত্ব মনে করে।

পাশাপাশি সন্ত্রাস, নৈরাজ্যসহ মানববিধ্বংসী সব কর্মকাণ্ডকে এ দেশের মানুষ বরাবরই ঘৃণা করে। তাই ধর্মীয় উগ্রতা কিংবা ধর্মান্ধতা নয়; বরং ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি ঐকান্তিকতা আর অনুসরণকেই দুনিয়া ও আখিরাতের মুক্তির একমাত্র পথ হিসেবে ধরে নেয়াই এ দেশের মানুষের বৈশিষ্ট্য।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্ম :

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্মের উপস্থিতি নিয়ে অনেক কথা চালু থাকলেও এ দেশের মানুষ ধর্মকে রাজনীতি থেকে পুরোপুরি পৃথক করার তত্ত্বে এখনো পুরোপুরি অভ্যন্ত হয়ে ওঠেনি। তাই বলে। ধর্মের নামে রাজনৈতিক সহিংসতাকেও তারা সমানভাবে ঘৃণা করে। বিশেষ করে রাজনৈতিকভাবে ধর্মকে হেয় প্রতিপন্ন করা বা ধর্মবিরোধী কার্যক্রমকে তারা কখনোই সমর্থন করেনি।

বিপরীত পক্ষে পুরোপুরি ধর্মীয় শাসন প্রতিষ্ঠার যে আদর্শিক আন্দোলন তার প্রতিও জনসাধারণের সমর্থন তেমন লক্ষ্য করা যায় না। বরং এ দেশের মানুষ মধ্যপন্থা অলেম্বন বিশ্বাসী। তাই দেখা যায়, জামায়াতে ইসলামীর মতো ধর্মভিত্তিক দল এককভাবে যেমন সুবিধা করতে পারেনি, তেমনি বামপন্থী দলগুলোর অবস্থাও করুণ। বরং বিএনপি, জাতীয় পার্টির মতো দলগুলো যখন ধর্মের প্রতি তাদের সহানুভূতি ধরে তুলতে পেরেছে তখন ভোটারদের সহানুভূতিও পেয়েছে।

তাছাড়া বাংলাদেশের আলেম-ওলামা ও পীর-মাশায়েখদের একটা বিরাট অংশ সরাসরি কোনো দলের সমর্থন করে না। তারা মূলত মানুষকে ধর্ম-কর্মের শিক্ষাদান ও এসব ব্যাপারে সজাগ করে তোলাকেই মূল দায়িত্ব মনে করেন। ফলে বাংলাদেশে কোনো উগ্রবাদী রাজনৈতিক গোষ্ঠীর উপস্থিতির কথা শুধুই কাল্পনিক।

 

বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি

 

উপসংহার :

নানা অপপ্রচার এবং অপতৎপরতা সত্ত্বেও এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, বাংলাদেশ কোনো অর্থেই সম্প্রদায়িক রাষ্ট্র নয়। এখানকার মানুষের দীর্ঘদিনের যে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্য তা কোনো সময়ই ধর্মীয় বাড়াবাড়ি প্রশ্রয় দেয়নি। বরং প্রাচীনকাল থেকে এখানে বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের মানুষ পাশাপাশি বাস করে আসছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক চর্চার সর্বজনীনতা দেখলে অন য়াসেই বলা যায়, এখানকার মানুষ প্রথমেই তাদের জাতীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয়কে প্রাধান্য দেয়।

কিন্তু বাংলাদেশে মসজিদ, মন্দির ও মানুষের ধর্ম-কর্ম পালন কোনো মতেই এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। বরং তারা ক্ষেত্রবিশেষে ধর্মের বিরুদ্ধে আপোষ করতেও নারাজ। তাই একবার এক কমিউনিষ্ট নেতা বলেছিলেন বিকালবেলা আমি যখন সমাজতন্ত্রের ওপর বক্তৃতা সেই তখন প্রচুর লোক জড়ো হয়, কিন্তু যখন মাগরিবের আযান হয় তখন মুসলমানরা মসজিদে আর হিন্দুরা মন্দিরে চলে যায় ।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment