স্বনির্ভর বাংলাদেশ রচনার একটি নমুনা তৈরি করে দেয়া হল। আশা করি এটি শিক্ষার্থীদের কাজে লাগবে। তবে আমরা রচনা মুখস্থ করা নিরুৎসাহ দেই। আমরা নমুনা তৈরি করে দিচ্ছি একটা ধরনা দেবার জন্য। এখান থেকে ধারণা নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিজের মতো করে নিজের ভাষায় রচনা লিখতে হবে।
Table of Contents
স্বনির্ভর বাংলাদেশ
স্বনির্ভরতা বলতে সাধারণ অর্থে অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা বোঝায়। বিভিন্ন দিক থেকে দেশকে স্বাবলম্বী করে ভুললেই দেশ স্বনির্ভরতা অর্জন করতে সক্ষম হবে। বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে স্থান করে নিলেও এখনও অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জন করতে পারেনি।
অর্থনৈতিকভাবে পরনির্ভরশীলতা কেবল স্বাধীনতা বিকাশের পথে অন্তরায় নয়, মর্যাদার দিক থেকে দুঃখজনকও। দুর্ভাগ্যের বিষয়, আমাদের পরনির্ভরশীলতা স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে আমাদের মর্যাদাকে প্রশ্নের সম্মুখীন করে তুলেছে। আমাদের উন্নয়ন বাজেটের বিরাট অংশ আসে বিদেশী সাহায্য থেকে। এটা স্বাধীন জাতির জন্য কখনোই কাম্য ও মঙ্গলজনক নয়।
এ পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীন ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে টিকে থাকতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই স্বনির্ভরতা অর্জন করতে হবে। সবদিক থেকে দেশকে ঐশ্বর্যমণ্ডিত ও স্বাবলম্বী করে তুললেই দেশ স্বনির্ভরতা অর্জন করতে সক্ষম হবে।
স্বনির্ভরতা কী?
স্বনির্ভরতার অর্থ অন্যের মুখাপেক্ষী না থেকে নিজের উপর নির্ভরশীল হওয়া। কোনো দেশের অর্থনৈতিক নির্ভরতা বলতে সে দেশকে অন্য দেশের সাহায্যের উপর নির্ভর না হওয়াকে বুঝায়। ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে স্বনির্ভরতা উন্নয়নের চাবিকাঠি। কেননা, স্বনির্ভর না হলে কোনো জাতি আত্মমর্যাদাসহকারে বেঁচে থাকতে পারে না।
পারস্পরিক নির্ভরশীলতা :
বর্তমান বিশ্বের ব্যাপক বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ কোনো দেশের পক্ষে অন্যের কোনো সাহায্য বা সহযোগিতা না নিয়ে এককভাবে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। এ নির্ভরশীলতা পারস্পরিক সহযোগিতা নির্ভর। কিন্তু এর বাইরেও এমন কতগুলো দেশ আছে যারা সমৃদ্ধ দেশগুলোর ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করে পারে না। এ ধরনের নির্ভরশীলতার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলো উন্নত দেশের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকে এবং নানাভাবে শোষিত হতে থাকে। এ দেশগুলো মূলত দারিদ্র্যপীড়িত এবং তৃতীয় বিশ্বক অর্থনীতির বিচারে এ দেশগুলো অনুন্নত।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি
দুশ’ বছরের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ ও পরবর্তী পর্যায়ে চব্বিশ বছর পাকিস্তানি শাসন-শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশধারায় গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বাঙালি স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছে, কিন্তু একটি স্বাধীন জাতির স্বাভাবিক বিকাশের অন্যতম প্রধান শর্তসমূহ অর্জনে রয়েছে এখনও পর্বত সমান সমস্যা। এত অল্প আয়তনের একটি দেশে চৌদ্দ কোটিরও বেশি মানুষের অবস্থান বিশ্বের আর কোথাও নেই।
খাদ্য-বক্সসহ আরো অনেক বিষয়ের জন্য আমরা বিদেশের কাছে সাহায্যপ্রার্থী। প্রতিবছর শত শত কোটি টাকারও বেশি পরিমাণ অর্থ খরচ হয় বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করতে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের যন্ত্রপাতিও বিদেশ থেকে আনতে হয়। এমনকি কারিগরি বা বিশেষ জ্ঞানের জন্য আমরা বিদেশের মুখাপেক্ষী।
বিদেশ থেকে প্রাপ্ত সাহায্য ও ঋণ আমরা যথাযথভাবে উন্নয়ন কাজে ব্যয় করি না। অপচয়, পরিভোগ ও বিলাসিতায় সে অর্থের বিপুল অংশ ব্যয় হয়। ফলে উন্নয়ন পরিকল্পনা ব্যাহত হয় ।
তার ওপর বর্তমানে বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। নেই কোনো উদ্যোগ, নেই কোনো কর্মক্ষেত্র। এ বিপুল সংখ্যক বেকার যুবক রেখে দেশের স্বনির্ভরতার কথা কল্পনাই করা যায় না। স্বনির্ভরতা অর্জন করতে হলে প্রথমেই বেকার যুবকদের কাজে লাগাতে হবে। শুধু সরকারি প্রয়াসে কোনো দেশে কোনো কালেই বেকার সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তবে সরকারি নীতির প্রয়াসে বেকার সমস্যা সমাধানের পথ প্রশস্ত হতে পারে।
এক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোগ ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে । তা ছাড়া চিহ্নিত ক্ষেত্রে যেমন মৎস্য চাষ, মুরগি পালন, খামার, নার্সারি, সবজি চাষ, বনায়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে যদি বেকারগণ স্বউদ্যোগে আত্মকর্মসংস্থানের পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাহলে আমাদের দেশের বেকাররা আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠতে পারবে, এ কথা দৃঢ়ভাবে বলা যায়।
তবে বাংলাদেশের অর্থনীতি যেহেতু কৃষিনির্ভর এবং জাতীয় আয়ের শতকরা ৪০ ভাগ কৃষি থেকে আসে, তাই কৃষির উন্নতিই জাতীয় অর্থনীতিকে সবল করার উপায়। ক্রাব সমস্যা সমাধানের উপায় নিয়ে চিন্তা করতে হবে যেন আমরা ক্রমেই পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিয়ে স্বনির্ভরতার দিকে অগ্রসর হতে পারি ।
স্বনির্ভরতার ক্ষেত্র
আত্মপ্রত্যয় ও আত্মপ্রচেষ্টাই বাংলাদেশকে স্বনির্ভর করার প্রকৃত মূলমন্ত্র। পৃথিবীর মানচিত্রে একটি ভূখণ্ড হিসেবে এ দেশের প্রথম এবং প্রধান সমস্যা হলো খাদ্য সমস্যা। পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটারের সীমারেখায় প্রায় পনের কোটি মানুষের খাদ্যের সংস্থান করা কঠিন কাজ। তাতে হতাশ না হয়ে সৃষ্টিশীল চিন্তাভাবনা করা উচিত। বাংলাদেশ পলল গঠিত উর্বর মাটি। এ দেশ মৌসুমী অঞ্চলে অবস্থিত।
আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাহায্য গ্রহণ করলে এ মাটি আমাদের সকল অভাব ঘুচিয়ে দিতে পারে। তাই আমাদের এগুতে হবে প্রধানত কৃষিক্ষেত্রে। উৎপাদন দ্বিগুণ করতে হবে এবং আমাদের ভিক্ষার হাতকে কর্মীর হাতে পরিণত করতে হবে।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ, দুর্যোগ মোকাবিলা, খাল খনন প্রকল্প, নিরক্ষরতা দূরীকরণ এবং স্বনির্ভর গ্রাম প্রকল্প ইত্যাদি কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার রোধ করে দেশকে সুখী, সমৃদ্ধ ও সর্বক্ষেত্রে স্বনির্ভর করার জন্য দেশবাসীকে সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে।
তাছাড়া আমাদের জীবনের প্রয়োজনীয় বহু অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর জন্য আমরা বহু বিদেশী শিল্পোৎপাদনের ওপর নির্ভরশীল। এতে কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় হচ্ছে। তাছাড়া সম্পদের অভাবে ব্যাপক শিল্পায়নে আমরা অগ্রসর হতে পারছি না। তাই বৃহৎ শিল্পায়নের ক্ষেত্রে অগ্রসরতার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি কুটির শিল্পের বিকাশের দিকেও আমাদের মনোযোগী হতে হবে।
বাংলাদেশে স্বনির্ভরতা অর্জনে বাঁধা
স্বনির্ভরতা মূলত যে কোনো জাতির সম্মানজনক অবস্থান নিয়ে বিশ্বদরবারে টিকে থাকার প্রতিশ্রুতি। কিন্তু বাংলাদেশ আজও বিদেশী সাহায্যকে আশ্রয় করেই টিকে আছে। এর জন্য মূলত রাজনৈতিক নেতৃত্বের অদূরদর্শিতা ও আত্মস্বার্থমূলক মনোভাবই দায়ী।
স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন জাতীয় ঐকমত্য এবং কৃষ্ণ মানসিকতা। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব শতধাবিভক্ত এবং কোনো দল বা ব্যক্তিই গোটা জাতিকে ঐক্যমন্ত্রে দীক্ষিত করে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমুখী করতে পারেনি। বরং জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন নিয়ে সর্বব্যাপী দুর্নীতিকে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
তাছাড়া জনগণের মধ্যেও স্বাজাত্যবোধ, জাতীয়তাবোধের প্রেরণা তেমন নেই। ফলে বিলাস, অপচায় ও অনুৎপাদনশীল কর্মকাণ্ডে গা ভাসিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে সরকারসমূহ পূর্ববর্তী সরকার কর্তৃক গৃহীত কোনো কর্মসূচিকেই এগিয়ে না নেয়ার প্রবণতার ফলে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার উদ্যোগ বার বার মুখ থুবড়ে পড়েছে।
স্বনির্ভরতা অর্জনের উপায়
একক কোনো উপায়ে স্বনির্ভরতা অর্জন সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা। বিশেষভাবে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশেল অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন সাধিত হয়। তাই স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে প্রথমেই কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রয়োজন। নিচে স্বনির্ভরতা অর্জনের উপায় উল্লেখ করা হলো:
১. কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়ন
বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের শতকরা প্রায় ৪০ ভাগ আসে কৃষি থেকে। তাই কৃষির উন্নয়নে মাধ্যমেই জাতীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করা সম্ভব। আমাদের কৃষকরা যাতে স্বল্প মূল্যে কৃষি উপকরণ, সার, বীজ, কীটনাশক প্রভৃতি পেতে পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন দ্বিগুণ করতে হবে এবং আমাদের ভিক্ষার হাতকে কর্মের হাতে পরিণত করতে হবে। এর জন্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ, দুর্যোগ মোকাবিলা, খাল খনন প্রভৃতি এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সর্বোপরি কৃষিক্ষেত্রে সরকারের ভর্তুকি আরো বাড়াতে হবে।
২. স্থির জাতীয় লক্ষ্য
স্বনির্ভরতা অর্জনকে সর্বাগ্রে জাতীয় লক্ষ্যে পরিণত করতে হবে। সুষ্ঠু ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নের জন্য দলমত নির্বিশেষে দেশের সকলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। আমাদের দেশে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু দ্রুত স্বনির্ভরতা অর্জনকৃত দেশগুলোর অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তারা দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ নিয়েছে। তাই বাংলাদেশকেও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্য স্থির করতে হবে।
৩. শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসার
শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসার স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য বিশেষ প্রয়োজন। কেননা, এসব ক্ষেত্রে একদিকে বহু লোকের কর্মসংস্থান হয়, অপরদিকে আমদানি নির্ভরতা কমে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হয়। তাই সম্পদ ও ভূমির সীমাবদ্ধতার কারণে আমাদেরকে শিল্পায়নের দিকে মনোযোগী হতে হবে। অর্থ ও দেশীয় শিল্প বাঁচাতে বিদেশী পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। এছাড়া বৃহৎ শিল্পের পাশাপাশি কুটির শিল্পের বিকাশের দিকেও আমাদেরকে মনোযোগী হতে হবে।
৪. সরকারের গৃহীত ব্যবস্থা
স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য দেশে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষভাবে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধনে রয়েছে সরকারি পরিকল্পনা। আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতির প্রয়োগ, সার ও বীজের ব্যবহার, সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন ইত্যাদির মাধ্যমে যাতে দেশে সামগ্রিকভাবে কৃষি পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হয়ে উঠতে পারে সেদিকে সরকার দৃষ্টি দিয়েছেন। দেশের প্রত্যেক জেলাকে স্বতন্ত্রভাবে স্বনির্ভরতার পরিকল্পনার আওতায় আনা হচ্ছে ।
উপসংহার
কথায় বলে, ‘Self help is the best help অর্থাৎ স্বনির্ভরতাই সবচেয়ে বড় অবলম্বন। স্বনির্ভরতা অর্থ নিজের ওপর নির্ভরতা। আর অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা বলতে কোনো দেশকে অপর দেশের সাহায্যের ওপর নির্ভর না করা বুঝায়। বিভিন্ন দিক থেকে দেশকে স্বাবলম্বী করে তুললেই দেশ স্বনির্ভরতা অর্জন করতে সক্ষম হবে। অবশ্য দেশকে সমৃদ্ধ করে তুলতে হলে প্রথম অবস্থায় অন্য দেশের সহযোগিতার ওপর নির্ভর না করলে চলবে না।
এই বিশ্বে কোনো দেশ বা রাষ্ট্র এককভাবে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে পারে না। বর্তমান বিশ্বে ব্যাপক বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির প্রেক্ষিতে বিশেষ কোনো দেশের পক্ষে অন্যের সহযোগিতা লাভ না করে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে না। কষ্টার্জিত আমাদের স্বাধীনতার ভিতকে শক্ত করে তুলতে হলে দেশের জনসাধারণকে স্বনির্ভরতার যথার্থ অর্থ অনুধাবন করতে হবে।
জাতীয় জীবনে স্বনির্ভরতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন রকম উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। সার্বিক সাক্ষরতা অর্জন, দারিদ্র্য বিমোচন, ব্যাপক কর্মসংস্থান, কুটির শিল্পের যুগোপযোগী পুনরুজ্জীবন, জ নিয়ন্ত্রণ, প্রশাসনিক সংস্কার, সম্পদের সুপরিকল্পিত ব্যবহার, অপচয় রোধ ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রে কর্মসূচির পাশাপাশি সেগুলো বাস্তবায়নে ব্যাপক ঐক্য ও উদ্দীপনা দরকার।
এ পথে বাধা হয়ে আছে আমলাতন্ত্র, দুর্নীতি। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনৈক্য। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে দেশব্রতী প্রেরণা নিয়ে সমগ্র জাতি অগ্রসর হলে কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সর্বক্ষেত্রে উত্তরোত্তর অগ্রগতি অর্জনের মাধ্যমে জাতি স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে যেতে পারবে।
আরও দেখুনঃ